হামিদ পল্লীর ‘ইত্যাদি’ ৪ অক্টোবর

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের নাম ‘ইত্যাদি’। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) এটির প্রচার শুরু হয়। সেই থেকে তিন মাস পর পর প্রচারিত হচ্ছে কৌতুকাশ্রয়ী ব্যাঙ্গাত্মক এই অনুষ্ঠানটি। সেই ধারাবাহিকতায় ‘ইত্যাদি’র এবারের পর্বটি প্রচার হবে আগামী ৪ অক্টোবর রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর। একযোগে দেখা যাবে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে।

শুরু থেকেই ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানটি রচনা ও পরিচালনা করেন হানিফ সংকেত। তার মালিকানাধীন ফাগুন অডিও ভিশনের প্রযোজনায় প্রতিবারই দেশের নানা ঐতিহ্যবাহী ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এই অনুষ্ঠানের মঞ্চ তৈরি ও দৃশ্যধারণ করা হয়। তুলে ধরা হয় সেসব এলাকার শিক্ষা, সাহিত্য, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা ও গ্রামীণ সংস্কৃতি।

সেই ধারাবাহিকতায় এবারের ইত্যাদির মঞ্চ তৈরি ও দৃশ্যধারণ করা হয় ভাটির দেশ কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়ির সামনে তৈরি হয় মঞ্চ। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের নান্দনিক দৃশ্যাবলিতে সাজানো হাওড়ের মাঝখানে দ্বীপের মতো ভেসে থাকা জায়গাটি ‘হামিদ পল্লী’ হিসেবে পরিচিত। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তৈরি করা হয় মঞ্চ। শুটিংও হয় সেভাবে।

এবারের ‘ইত্যাদি’তে কিশোরগঞ্জের হাওড় অঞ্চলের জীবন-জীবিকা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তুলে ধরে পানিতে ও ডাঙায় শতাধিক নৌকা রেখে নির্মাণ করা হয় নান্দনিক মঞ্চ। সবসময় রাতের আলোকিত মঞ্চে ‘ইত্যাদি ধারণ’ করা হলেও মিঠামইনের হামিদ পল্লীর নৈসর্গিক রূপ রাতের বেলায় দেখানো সম্ভব নয় বলে দিনের আলোর পড়ন্ত আভায় ধারণ করা হয়েছে ‘ইত্যাদি’র এবারের পর্ব। সেসবই দেখা যাবে ৪ অক্টোবর।

হানিফ সংকেতের তুমুল জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র প্রধান আকর্ষণীয় দিক হলো সমাজের নানা অসঙ্গতিকে বিদ্রুপ ও রসময় করে উপস্থাপন করা। সেখানে থাকে নানা ও নাতির খুঁনসুটি। তবে নানার চরিত্রে অভিনয় করা অমল বোস মারা যাওয়ায় পর্বটি এখন নানি ও নাতির। এছাড়া বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বিদেশিদের নিয়ে ঈদের ইত্যাদিতে থাকে একটি বিশেষ উপস্থাপনা।