অজ্ঞান পার্টির কবলে বাংলা কলেজের ছাত্র

ঢাকার কোচ শ্যামলী পরিবহনে উঠে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন রিগান আহমেদ নামে এক যুবক। তিনি মণিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি আছেন। রিগান মাগুরার শালিখা উপজেলার মধুখালী গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে।

রিগান ঢাকার মিরপুর বাংলা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের মাষ্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে শ্যামলী কোচে চড়ে তিনি গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন।

পরিবহনের মধ্যে তিনি অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়েন। তারা তাকে খাবারের সাথে বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে অজ্ঞান করে সাথে থাকা সবকিছু নিয়ে গেছে।

রিগান বলেন, পরিবহনের পিছনের দিকে আমার আসন ছিল। রাত দুইটার সময়ও আমি খাবার খেয়েছি। এরপর আর কিছু বলতে পারব না। আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে জ্ঞান ফিরলে দেখি আমি মণিরামপুরে। তখন সুপারভাইজারকে বললে তারা আমাকে নামিয়ে দেয়। আমার সাথে মানিব্যাগে ৫০০-৭০০ টাকা, মোবাইল ও জামাকাপড়ের ব্যাগে ছিল। এখন দেখি কিছু নেই।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, সাড়ে ১০টার দিকে শ্যামলী গাড়ি থেকে ওই যুবককে মণিরামপুর পৌরসভার গেটের সামনে নামিয়ে দেয়। তার কপালের ডান পাশের কাটা অংশ থেকে রক্ত ঝরছিল। নামার পর সে বমি করতে থাকে। অবস্থা খারাপ দেখে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেয়ে।

মণিরামপুর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আশরাফুর রহমান বলেন, যুবককে খাবারের সাথে বিষাক্ত কিছু খাইয়ে দেওয়া হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। দুই-একদিন বিশ্রামে থাকলে ঠিক হয়ে যাবে।
এদিকে রিগানের বাড়ির ঠিকানায় খবর দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড বয় আক্তার হোসেন।