যশোরে পুলিশের পোশাক পরে মোটরসাইকেল নিয়ে চম্পটের ২ মাস পর প্রতারক আটক

যশোরে পুলিশের পোশাক পরে অভিনব কৌশলে মোটরসাইকেল নিয়ে চম্পটের ২ মাস পর প্রতারকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাঘারপাড়ার খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই রফিকুল ইসলাম ও সহকারী ইনচার্জ এএসআই হযরত আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সদর উপজেলার পাঁচবাড়ীয়া থেকে তাকে আটক করে। তবে মোটরসাইকেলটি এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

প্রতারক রবিউল ইসলাম রনি পাঁচবাড়ীয়া গ্রামের সুজাউদ্দীন পাগলের ছেলে।

এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের মালিক কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে বাঘারপাড়া থানায় ১৭১/৩৭৯ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১০।

মামলায় উল্লেখ্য করেন, গত ২১ আগস্ট বুধবার সকাল ১১টার দিকে পুলিশ পোশাক পরিহিত প্রতারক রনি নারিকেলবাড়ীয়া বাজার থেকে খাজুরা পুলিশ ক্যাম্পে আসার কথা বলে তার মোটরসাইকেলটি ভাড়া করে। ক্যাম্পে প্রবেশের আগ মুহুর্তে প্রতারক একটি ফোন কল রিসিভ করে ১ মিনিট কথা বলে এবং তাকে জানায় স্যার মাছ কিনে নিয়ে ক্যাম্পে আসতে বলেছে। তার কথা অনুযায়ী খাজুরা মাছ বাজারে আসলে রনি মাছ ব্যবসায়ী নিত্যানন্দের থেকে প্রায় ৪ হাজার টাকার ইলিশ মাছ কেনে। মাছের দাম না দিয়ে টাকা নিয়ে আসার কথা বলে তার মোটরসাইকেলটি নিয়ে সে চম্পট দেয়। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর রনি আর ফিরে না আসায় সে সরাসরি ক্যাম্পে গিয়ে ইনচার্জ রফিকুল ইসলামকে বিষয়টি জানালে বুঝতে পারে সে একজন প্রতারক ছিল।
ঘটনার দিনই তিনি বাঘারপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এরপর পুলিশ তাকে বিভিন্নভাবে খুঁজতে থাকে এবং অবশেষে ঘটনার প্রায় ২ মাস পর শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে নিজ বাড়ী থেকে আটক করে।

আটকের পর প্রতারক রনি জানান, ঐ দিন তার বিবাহের দিন ছিল। সে মোতাবেক বিবাহের একটি কাবিননামা হাজির করেন। পুলিশ জানিয়েছে, পরবর্তীতে খোজ খবর নিয়ে কাবিননামাটি ভূয়া বলে জানা গেছে।