মণিরামপুরে ঘের ব্যবসায়ীর জমি বে-দখল

যশোরের মণিরামপুরের হরিহরনগরে আবু হাসান নামে এক ঘের ব্যবসায়ীর জমি জোর পূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করা হচ্ছে, আবু হাসানের মেঝভাই ও তার দুই ছেলে ৪১ শতক জমি দখলে নিয়ে তাতে জোর করে চারা রোপন করেছেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি আদালতের স্মরণাপন্ন হলে আদালত ওই জমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারির নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ পেয়ে থানার ওসি (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ বাস্তবায়ন করেন।

আবু হাসান অভিযোগ করেন, সাত ছেলে ও ছয় মেয়ে রেখে ১৯৯৩ সালে তার পিতা শরিয়াতুল্যা দফাদার মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পূর্বে সন্তানদের মধ্যে সব সম্পত্তি ভাগ করে দেন। কিন্তু তিনি কারও নামে কোন জমি লিখে দিয়ে যাননি। তখন থেকে অন্য ভাইদের মত পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া ১০৪ শতক জমি দখলে রয়েছে তার। হাসানের দখলি জমির মধ্যে হরিহরনগর মৌজার আরএস ৬৮০ দাগে পাকা রাস্তার পাশে ৪১ শতক জমি রয়েছে তার। সেই জমিটি জোর করে দখলে নিয়ে ছেলের জন্য বাড়ি করতে চান হাসানের মেঝভাই আব্দুল মমিন। গত তিন মাস আগে জমিটি দখলে নেন আব্দুল মমিন। তখন স্থানীয়ভাবে মিমাংসা হলে জমি হাসানের দখলে থেকে যায়। গত শুক্রবার দুপুরে দুই ছেলে এনামুল ও কবিরুলকে সাথে নিয়ে আবারও সেই জমি দখলে নিয়ে জোর করে চারা রোপন করেন আব্দুল মমিন। এসময় বাধা দিতে গেলে হাসানকে হত্যার হুমকি দেয় তারা। স্থানীয়ভাবে মিমাংসা না হওয়ায় গত মঙ্গলবার আদালতের স্মরণাপন্ন হন তিনি। আদালত তার আবেদন আমলে নিয়ে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।

আবু হাসান বলেন, আব্বা মারা যাওয়ার আগে বড়ভাইরা তাকে নির্যাতন করতেন। আমি তখন ছোট ছিলাম। বড়ভাইরা নিজেদের সুবিধামত জমি ভাগ করে নিয়েছেন। আমাকে অপেক্ষাকৃত খারাপ জমিগুলো দিয়েছে। আমার ৪১ শতক জমির পাশ দিয়ে পাকা রাস্তা হয়েছে। জমিটি এখন অধিক মূল্যবান হওয়ায় মেঝভাই সেটা দখলে নিয়ে তার ছেলে কবিরুলকে বাড়ি করে দিতে চাচ্ছেন। তবে এই ব্যাপারে বিবাধীদের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। পরবর্তী আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত দুই পক্ষকে শান্তি বজায় রাখতে বলা হয়েছে।