যশোরে কলেজছাত্র সোহাগ হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা

jessore map

যশোর হামিদপুর আল-হেরা ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সোহানুর রহমান সোহাগ ওরফে মাইকেল (১৮) হত্যাকান্ডের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) নিহত সোহাগের ভাই মিলন হোসেন বাদি হয়ে মামলাটি করেন। মামলা নং-৬২। মামলায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সোহাগ শহরের বারান্দি মোল্লাপাড়া আমতলা নদীর পাড়ের হাববিুর রহমান ওরফে হাবিব ড্রাইভারের ছেলে। মামলার আসামিরা হচ্ছে বারান্দি মোল্লাপাড়া আমতলা নদীর পাড়ের মাইছো সিদ্দিকের ছেলে রাকিব (২৬), একই এলাকার মৃত খায়রুলের ছেলে রায়হান (২৪), ভাংগাড়ি কাদেরের ছেলে কুরবান (১৯), ও মৃত আইয়ুব হোসেনের ছেলে শরিফ (২৬)।

মামলায় মিলন হোসেন উল্লেখ করেছেন, আমার ভাই সোহাগ হামিদপুর আলহেরা ডিগ্রি কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষে লেখাপড়া করে। ২০ অক্টোবর রোববার রাতে বাড়িতে অবস্থান কালে রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে রায়হান বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সময় মতো বাড়িতে না আসায় আমার পিতার ০১৭১৪২৫১২৬৭ নম্বর মোবাইল থেকে আমার ভাই সোহাগের ০১৪০১৬৭৩৯১১ নম্বর মোবাইলে ফোন করে বাড়িতে আসার জন্য বলা হয়। আমার ভাই সোহাগ জানায়, সে তার বন্ধু রাকিব, রায়হান, কুরবান ও শরীফদের সাথে আছে। বাড়িতে আসতে একটু দেরি হবে। পরবর্তীতে বাড়িতে না আসলে আমার পিতা পুনরায় ফোন দিলে সোহাগের মোবাইল বন্ধ পায়। বিষয়টি আমাকে জানালে আমিসহ বাড়ির অন্যান্য লোকজন সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুজি করি। পরের দিন ২১ অক্টোবর সোমবার বেলা পৌনে একটার দিকে প্রতিবেশি শেরআলীর মেয়ে সোনিয়া আমাদের বাড়ি এসে জানায় সোহাগ ওরফে মাইকেলের লাশ বারান্দি মোল্লাপাড়া আমতলা মালোপাড়া ভৈরব নদের পশ্চিমপাড়ে জনৈক মতিয়ার রহমানের নেপিয়া ঘাষের ক্ষেতের মধ্যে পড়ে আছে। পরিবারের লোকজনসহ আশেপাশের লোকজন ওই স্থানে যেয়ে দেখি সোহাগের গলার ডান পাশে ১ টি, বামপাশে ২ টি ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ, বুকের ডান পাশে ৪ টি, বামপাশে ২ টি, পেটের বাম পাশে ২ টি ধারালো অস্ত্রের কাটা দাগ আছে। পেটের নাড়ি ভুড়ি বের হয়ে গেছে। পুরুষাংগের ডান পাশে ২ টি কাটা দাগ আছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোহাগকে হত্যা করা হয়েছে বলে মিলন হোসেন মামলায় উল্লেখ করেন।

এদিকে সোহাগ হত্যা কান্ডের পর ৪ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনো পর্যন্ত কোন আসামি আটক করতে পারেনি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আমিরুজ্জামানের কাছে এবিষয়ে জানতে কয়েকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।