যশোরে বিদ্যালয়ের সম্পত্তি দখল করে ক্লাব ঘর নির্মানের অভিযোগ

যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ১৬২ নং আন্দুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্পত্তি দখল করে ক্লাব ঘর নির্মাণ করছে স্থানীয় একদল বখাটে। এনিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও এলাবাসীর নিষেধ-বারণ থোড়াই কেয়ার না করে ক্লাবঘর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে গাঁ এর জোরে।

স্থানীয়রা জানান, এই বিদ্যালয়ের নামে রেকর্ডকৃত দখলি সম্পত্তির উপর জোরপূর্বক ক্লাবঘর নির্মান করছে অন্য গ্রামের কয়েক বখাটে যুবক। আর একাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে নরেন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আবুতালেব মোল্লার ছেলে (মোটরসাইকেল চালক) রফিকুল ইসলাম ও একই গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে আলামিন।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার বাবুল আক্তার বাবুর জানান, নরেন্দ্রপুরের রফিকুল ও আলামিনের নেতৃত্বে আন্দুলিয়া গ্রামের একমাত্র প্রাথমিক বিদ্যাপীঠের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে খেলার মাঠের জায়গা দখল করে ক্লাবঘর নির্মাণ হচ্ছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসীর তরফ থেকে কয়েক দফা নিষেধ-বারন শর্তেও গাঁয়ের জোরে এই ঘর স্থাপন কাজ চালাচ্ছে।

একাধিক সূত্র মতে, মোটরসাইকেল চালক রফিকুল ইসলাম ও আলামিন অন্য গ্রামের বাসিন্দা হওয়া শর্তেও তারা নিজেদেরকে ক্ষমতাসীন দলের এমপি গ্রুপের সদস্য ও নব গঠিত ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা বলে জাহির করে ধরাকে সরাজ্ঞানে পরিণত করেছে।

এব্যাপারে অত্র-বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হযরত আলী জানান, ১৯৬৯ খ্রি: ৮৩ শতক জমির উপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত করতে এগ্রামের অমেদ আলী বিশ্বাস ২৩ শতক, ইকরাজ আলী মোল্লা ২০ শতক, সেকেন্দার আলী বিশ্বাস ২০ শতক ও আক্কেল আলী মোল্লা ২০ শতক জমি দান করেন। তখন থেকে এপর্যন্ত পুরো ৮৩ শতক জমি স্কুলের দখলে থাকলেও সম্প্রতি রফিকুল ও আলামিন নামিওরা বিদ্যালয়ের সম্পত্তির উপর ক্লাবঘর নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের কোনো কথায় কর্ণপাত না করে অনেকটা চ্যালেঞ্জের সুরে বলছে জেল খাটতে হলেও এই স্থানে ক্লাব স্থাপন করবোই। এনিয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে মিটিং করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সহ সকল কে অবহিত করা হয়েছে।

এঘটনায় বিদ্যালয়ের সভাপতি আজিজুর রহমানের মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভাব হয়নি।