বিএনপির দলছুট নেতাদের ‘আ’লীগে ভেড়া’ নিয়ে যা বললেন হাছান মাহমুদ

বিএনপির অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা দল ছেড়ে যাওয়ার জন্য বহুদিন ধরে চিন্তা-ভাবনা করছেন এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করছেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

সম্প্রতি বিএনপি থেকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান পদত্যাগ করেছেন। আরও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতার দল ছাড়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

বিএনপির কেউ আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির অনেক নেতাই দল ছেড়ে যাওয়ার জন্য বহুদিন ধরেই চিন্তা ভাবনা করছেন এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে যে যোগাযোগ করছেন না তা নয়। আওয়ামী লীগ কিন্তু যাকে তাকে দলে নেয়ার জন্য বসে রয়নি। আওয়ামী লীগ একটি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জনগণের মধ্য থেকে উঠে আসা দল। আওয়ামী লীগে যোগ দিতে চাইলেই সবাইকে নেয়া হবে না।

‘বিএনপি থেকে অনেকেই দল ত্যাগ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন, মাত্র শুরু হলো ভবিষ্যতে বিএনপি আরো দেখতে পাবে’-যোগ করেন হাছান মাহমুদ।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি থেকে যেভাবে তাদের সিনিয়র নেতারা দলত্যাগ করে চলে যাচ্ছেন, এই তালিকায় আরো বহুজন আছেন। সেগুলো ভবিষ্যতে বিএনপি দেখতে পাবে।

বিএনপি নেতাদের দল ত্যাগ করার কারণ সম্পর্কে আওয়ামী লীগের এই প্রচার সম্পাদক বলেন, রাজনীতি হচ্ছে মানুষের জন্য, জনগণের কল্যাণের জন্য। কিন্তু তাদের (বিএনপি) রাজনীতি ১১ বছরে মানুষের কল্যাণে আবর্তিত হয়নি। তাদের রাজনীতি সবসময় আবর্তিত হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং খালেদা জিয়া, তারেক জিয়ার মামলা এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে। তারা এই বিষয়গুলোকে ফুটিয়ে তোলার জন্য যে জঘন্য পথ অবলম্বন করেছে, জনগণের উপর আক্রমণ করা, পেট্রলবোমা হামলা চালানো, সে কারণে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এ কারণে তাদের নেতারা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছে। বিএনপিতে গণতন্ত্র নেই দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিদেশ থেকে যেভাবে দলকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, তাদের দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র বলতে কোনো কিছু নেই, স্থায়ী কমিটির সদস্যরা কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন না। সিদ্ধান্ত আসে তাদের দণ্ডিত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছ থেকে এবং সেগুলো অপরিনামদর্শী সিদ্ধান্ত।’