কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন : সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আলোচনায় যশোরের মুন্না

বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে এবার সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাজ্জাদ হোসেন মুন্না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ক্যাসিনোকান্ডে জড়িত ও দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্তদের নেতৃত্বের বাইরে রাখতে তৃণমূল থেকে ক্লিন ইমেজের নেতাদের হাতে বিভিন্ন পদের দায়িত্ব বন্টন করতে চান আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকলের সম্মতি ও মতামতের ভিত্তিতে ত্যাগী নেতাদের বাছাই করা হচ্ছে। নানা কেলেঙ্কারীতে অভিযুক্ত নেতারা সংগঠনের কোনো পদে যেন অধিষ্টিত হতে না পারেন সেজন্য সতর্কতা অবলম্বন করছে দলের হাইকমান্ড। প্রতিটি পদের প্রার্থী নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

দলের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ক্লিন ইমেজ ও ত্যাগী নেতা হিসাবে বিশেষ পরিচিত যশোরের সাজ্জাদ হোসেন মুন্না এবারের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কমিটিতে জায়গা করে নেবেন এমন প্রত্যাশা করছেন দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। অত্র অঞ্চল থেকে তিনি একমাত্র এ পদের দাবিদার হিসাবে আলোচনায় রয়েছেন। এ পদের প্রার্থী হিসাবে খুলনা বিভাগ থেকে আর কোন রাজনীতিকের নাম শোনা যাচ্ছে না। যে কারণেই যথেষ্ট আশাবাদী হয়ে উঠেছেন তৃণমূল থেকে উঠে আসা এই ত্যাগী নেতা। নতুন কমিটিতে জায়গা পেলে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতিকে আরও বেগবান ও সুসংগঠিত করতে পারবেন বলে সাংবাদিকদের কাছে নিজের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন সাজ্জাদ হোসেন মুন্না।

দলীয় সুত্রে জানা গেছে, এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে প্রতিটি বিভাগীয় অঞ্চল থেকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে একজন করে মোট ৯ জন কমিটিতে স্থান পাবেন। আগামী ১৬ নভেম্বর ঢাকায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাজ্জাদ হোসেন মুন্না দীর্ঘ দু’যুগেরও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। ২০১২ সালের ১১ জুলাই সংগঠনের দ্বিতীয় সম্মেলনে গঠিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে (বর্তমান কমিটি) তিনি সদস্য হিসাবে মনোনীত হন। এর আগে ২০০৪ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন উপশহর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক। রাজনৈতিক জীবনে মুন্না দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ একজন ত্যাগী নেতা হিসাবে পরিচিত। বিভিন্ন সময়ে তিনি প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের জেলা পর্যায়ের একজন বলিষ্ট নেতা হলেও তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপপ্রোয়গ ঘটিয়ে সুবিধা আদায়ের অভিযোগ ওঠেনি।