সরকারি প্রশ্ন বাদে গাইড প্রশ্নে বার্ষিক পরীক্ষা!

যশোরের মণিরামপুরে পৌরসভা বালিকা বিদ্যালয়ে সরকারি প্রশ্ন বাদ রেখে সমিতির প্রশ্নে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ করা হচ্ছে, ওই প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহিদ হোসেন মোটা অংকের টাকায় স্কুলে চালানো নিষিদ্ধ পাঞ্জেরী কোম্পানীর প্রশ্ন দিয়ে ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির পরীক্ষা নিচ্ছেন। রোববার (১ ডিসেম্বর) পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অভিযান চালিয়ে ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক জাহিদ হোসেনকে শোকজ করেছে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। সোমবারের (২ ডিসেম্বর) মধ্যে তাকে শোকজের জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যালয়টির সভাপতি ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী নিজেই। তাঁর পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের এমন কান্ডে হতবাক সবাই।

গত ২৭ নভেম্বর থেকে মণিরামপুরে একযোগে ষষ্ঠ, সপ্তম ও নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। গত বছরের ন্যায় এবারও নবম শ্রেণির সব বিষয় এবং ষষ্ঠ ও সমপ্ত শ্রেণির ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা যশোর শিক্ষা বোর্ডের সরবরাহ করা প্রশ্নে নেওয়ার কথা। পৌরসভা বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহিদ হোসেন নবম শ্রেণির পরীক্ষা বোর্ডের প্রশ্নে নিলেও ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণির ক্ষেত্রে তা করছেন না। তিনি ওই দুই শ্রেণির সব পরীক্ষা পাঞ্জেরী কোম্পানীর সরবরাহ করা প্রশ্নে নিচ্ছেন।
রোববার সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা তিনি গাইড কোম্পানির প্রশ্নে নিচ্ছেন এমন অভিযোগ পেয়ে ইউএনও পরীক্ষা চলাকালীন সময় বেলা ১১টার দিকে স্কুলটিতে অভিযান চালান। এসময় তিনি হাতেনাতে অভিযোগের সত্যতা পান।

ছুটিতে থাকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক বলেন, নিশ্চয় বড় ধরনের প্রলোভনে পড়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহিদ হোসেন একাজ করেছেন। তিনি এর উপযুক্ত বিচার চেয়েছেন।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) জাহিদ হোসেন বলেন, আমি ঢাকায় রয়েছি। কালকে (সোমবার) ফিরে এসে দেখছি। তিনি এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি।

ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, গাইড কোম্পানীর সরবরাহ করা সপ্তম শ্রেণির ইংরেজি ২য় পত্রের পরীক্ষার প্রশ্ন জব্দ করা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে শোকজ করার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি ওই শিক্ষককে শোকজ করেছেন।