রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি রহস্যময় ইঙ্গিত দিয়েছেন, য্টোকে আগামী মেয়াদে তিনি ক্ষমতায় থাকবেন না বলে দেখা হচ্ছে। ক্রেমলিন নীতিকে একনিষ্ঠভাবে সমর্থন করে যাওয়া এক দীর্ঘ সংবাদসম্মেলনে তিনি এই আভাস দিয়েছেন।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি ও সাউথ চায়না মোর্নিং পোস্টের খবরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টার এই প্রশ্ন ও জবাব অধিবেশন ছিল পুতিনের সবচেয়ে দীর্ঘ সংবাদসম্মেলনের একটি। রুশ নেতারা ঐতিহ্যগতভাবে বছর শেষে এটির আয়োজন করেন।
২০০০ সালের শুরুতে বরিস ইয়ালতসিন নাটকীয়ভাবে তার ক্ষমতা হস্তান্তর করার পর গত দুই দশক ধরে দেশটিকে শাসন করছেন পুতিন। রাশিয়া এখন আন্তর্জাতিকভাবে অনেকটা বিচ্ছিন্নই বলা যেতে পেরে। এছাড়া ২০২৪ সালের ম্যান্ডেট শেষ হওয়ার পর তার পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে জল্পনা চলছে।
ঠিক এমন সময়েই তিনি এই সংবাদসম্মেলনে বসলেন। এতে অংশ নিতে ১৮০০ প্রতিবেদককে সুযোগ দেয়া হয়েছিল। মূলত দেশীয় ও আঞ্চলিক ইস্যুগুলোকে সামনে তুলে আনার জন্যই ছিল এই আয়োজন।
পুতিন সংবিধানের একটি অনুচ্ছেদ থেকে ‘পর পর’ শব্দটি বাদ দেয়ার কথা বলার পরেই সবেচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট কেবল পর পর ২ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।
নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিতে তেমন কোনো কথা বলেননি তিনি। রুশ-বেলারুশ ইউনিয়নের প্রধান হিসেবে শাসন ব্যবস্থার নতুন একটি পদে আসীন হয়ে নিজের ক্ষমতার মেয়াদ বাড়াবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাব দিতে তিনি অস্বীকার করেছেন।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে চতুর্থ মেয়াদ চলছে পুতিনের। কাজেই আগামী ২০২৪ সালে ক্ষমতার মেয়ার শেষ হওয়ার পর তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য।
এর আগে তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় মেয়াদের মধ্যে দিমিত্রি মেদভেদেভের হাতে প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়ে দিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এবার রুশ সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদটিতে পরিবর্তন আনার দাবির কথা বলা হয়েছে। এতে একনাগারে দুই মেয়াদের বেশি সময় দেশ শাসনের সুযোগ এনে দেবে পুতিনের সামনে।
বৃহস্পতিবার তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে ওই অনুচ্ছেদটি কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ব্যক্তিত্বের জন্য অসুবিধা হয়ে দেখা দিয়েছে। কাজেই ওই অনুচ্ছেদটি সংবিধান থেকে বাদ দেয়ার মতই দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।