ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ও বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল দুজনেই উত্তরা এলাকা থেকে ভোটের প্রচারণায় নেমেছেন।
শুক্রবার আগারগাঁওয়ে ঢাকা উত্তরের রিটার্নিং কর্মককর্তার কার্যালয় থেকে প্রতীক বুঝে পাওয়ার পর দুই প্রার্থীই জুমআর নামাজ পড়ার পর কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে জনসংযোগে নামেন।
নৌকার প্রার্থী আতিকুল উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নামাজ পড়েন তিনি। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের কাছে দোয়া ও ভোট চান আতিকুল।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা উত্তরের সদ্যবিদায়ী মেয়র বলেন, “নিরাপদ সড়ক ও নিরাপদ শহর দরকার। আমি নিরাপদ শহর গড়ে তুলতে চাই। এই শহরকে পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তুলব।
“আমি কাজ পাগল, আপনাদের সঙ্গে নিয়ে এই শহরকে গড়ে তুলব। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অভিজ্ঞতা হয়েছে সেটি কাজে লাগিয়ে ডেঙ্গু নির্মূল করতে চাই।”
নির্বাচনী প্রচারে সমান সুযোগ নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। তারপরও বলব, যারা এমপি-মন্ত্রী তারাও দলের অংশ। কিন্তু তারা কাজ করতে পারছেন না।
“অন্যদিকে মওদুদ আহমেদসহ বিএনপি নেতারা প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। তারা সাবেক এমপি ও মন্ত্রী।…বিষয়টি বিবেচনার জন্য অনুরোধ করছি।”
অন্যদিকে ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর সড়ক থেকে প্রচার শুরু করেন। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চান, তাদের মাঝে লিফলেট বিলি করেন।
মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে জানিয়ে তাবিথ বলেন, “আমরা আশা করছি নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন এবং জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন। তারা তাদের ভোট দিতে পারবেন।”
অন্যদের মধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও মাহমুদুর রহমান মান্না এসময় তার সঙ্গে ছিলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে বিএনপি গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার নির্বাচন হিসেবে নিয়েছে।
“এটি আন্দোলনের নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউওয়ালকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা বিশ্বাস করি, এই নির্বাচনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারব। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।”