প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির জনক মুজিববর্ষের প্রথম উপহার ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট)। অতীতের ন্যায় আর গলাকাটা পাসপোর্ট হবে না। ফলে মানুষ আর ধোঁকায় পড়বে না। দক্ষিণ এশিয়ায় আমরাই প্রথম ই-পাসপোর্ট শুরু করলাম। বাংলাদেশ আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
বুধবার বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ই-পাসপোর্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন সেবাকে যুগোপযোগী করতে ই-পাসপোর্ট প্রদান শুরু করলাম।
ই-পাসপোর্টের সঙ্গে ই-গেটও সংযোজিত হচ্ছে। ই-পাসপোর্ট ও ই-গেট সংযোজিত হলে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট সেবা সহজ, স্বাচ্ছন্দময় ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের হাতে ই-পাসপোর্ট পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আরও একটি মাইল ফলক স্পর্শ করা হলো।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের সব উদ্যোগকে ডিজিটাল কার্যক্রমে রূপান্তরিত করেছে। দেশের অভ্যন্তরে ৬৪টি জেলায় ৬৯টি পাসপোর্ট অফিস, ৩৩টি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট, বিদেশস্থ ৭৫টি বাংলাদেশ মিশনের পাসপোর্ট ও ভিসা উইং-এর মাধ্যমে পাসপোর্ট, ভিসা ও ইমিগ্রেশন সেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সরকার রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এ দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন সুখে এবং শান্তিতে বসবাস করতে পারে সে জন্য আমরা ডেল্টাপ্লান ২১০০ ঘোষণা করেছি। ১০০ বছর পর এ দেশের মানুষ কেমন দেশ পাবে সে পরিকল্পনাও আমরা প্রণয়ন করেছি। দেশের মানুষের কল্যাণেই এই সব পরিকল্পনা।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধানমন্ত্রীকে ই-পাসপোর্ট হস্তান্তর করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান, জার্মান দূতাবাস ঢাকার রাষ্ট্রদূত পিটার।
ই-পাসপোর্টের প্রকল্প পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান অনুষ্ঠানে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্য শেষে ই-পাসপোর্ট ভবনের শুভ উদ্বোধন করেন। অধিদফতর ও জার্মান দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা স্মারক উপহার দেয়া হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।