চীনের গোপন জীবাণু গবেষণাগার থেকে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি?

বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। এর দেখা মিলেছে চীনের উহান শহর থেকে। চীনের বেশ কয়েকটি শহর তো বটেই, বিশ্বের অনেক স্থানেও দেখা মিলেছে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগির। মারা গেছে কয়েক ডজন রোগি। তবে প্রাণী-বাহিত এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল হতে পারে চীনের গোপন জীবাণু অস্ত্র গবেষণাকেন্দ্র। ওই গবেষণাগার অবস্থিত উহান শহরে। এমন অনুমান করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। ওয়াশিংটন টাইমস পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরাইলি জৈব অস্ত্র বিশ্লেষক এই সম্ভাবনার কথা নাকচ করেননি।

চীনের উহানে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের দেখা মেলার পর রেডিও ফ্রি এশিয়া গত সপ্তাহে তাদের ২০১৫ সালের একটি প্রতিবেদন পুনঃপ্রচার করে।

ওই প্রতিবেদনটি ছিল চীনের সবচেয়ে অত্যাধুনিক ভাইরাস গবেষণাগার উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজির ওপর। উহান শহরে অবস্থিত এই গবেষণাগারে প্রাণঘাতী বিভিন্ন ভাইরাস নিয়ে গবেষণা চলছিল।

চীনের জৈব অস্ত্র প্রকল্প নিয়ে গবেষণা করেছেন ইসরাইলের সাবেক সামরিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা ড্যানি শোহাম। তিনি বলেন, উহান ইন্সটিটিউট অব ভাইরোলজি চীনের গোপন জৈব অস্ত্র প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তার ভাষ্য, ‘এই ইন্সটিটিউটের কিছু পরীক্ষাগার গবেষণা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত ক্ষেত্রে চীনের গোপন জৈব অস্ত্র প্রকল্পের সঙ্গে হয়তো সম্পৃক্ত। তবে এগুলো এই প্রকল্পের প্রধান স্থাপনা নয়।’

এক ইমেইল বার্তায় বলেন, বেসামরিক-সামরিক গবেষণার অংশ হিসেবে জৈব মারণাস্ত্র নিয়ে গবেষণার কাজ হয়ে থাকে। এ ধরণের যেকোনো প্রকল্প অবশ্যই গোপন রাখা হয়।

মেডিকেল মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী শোহাম ১৯৭০ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ইসরাইলি সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীতে মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বব্যাপী জৈব ও রাসায়নিক অস্ত্র সংক্রান্ত জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করেন।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রতিবেদনে চীনের গোপন জীবাণু প্রকল্প নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। তবে চীন কোনো ধরণের আক্রমণাত্মক জৈব অস্ত্র থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।