ইউএনওরা পাচ্ছেন ৯৪ লাখ টাকার পাজেরো

mustafa kamal
ফাইল ছবি

উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) জন্য প্রায় কোটি টাকার পাজেরো স্পোর্টস কিউ এক্স জিপ গাড়ি কিনছে সরকার। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০টি গাড়ি কেনার জন্য নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটি।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীপরিষদ সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবসহ মোট পাঁচটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে কমিটির সদস্য মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের জন্য ৫০টি জিপ গাড়ির কেনার একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড থেকে এসব গাড়ি কেনা হবে তাই সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এসব গাড়ি কেনা হবে।

গাড়ির দাম কত এ বিষয়টি অর্থমন্ত্রী স্পষ্ট কিছু না বললেও বৈঠকে উপস্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়, সরকারি যানবাহন অধিদফতর কর্তৃক ২০০৬-২০০৭ অর্থবছর থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণের সরকারি ও দাপ্তরিক কাজে ব্যবহারের জন্য জিপ গাড়ি ক্রয় করে বরাদ্দ প্রদান করে আসছে। পুরাতন জিপগুলো আয়ুষ্কাল শেষ হওয়ায় মেরামত করে প্রশাসনিক ও দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনায় গতিশীলতা ব্যাহত হচ্ছে। তা প্রতিস্থাপন হিসেবে ৫০টি জিপ গাড়ি উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় সাপেক্ষ বিধায় রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণের জন্য ৫০টি পাজেরো স্পোর্টস কিউ এক্স জিপ গাড়ি সরকারি প্রতিষ্ঠান “প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড” হতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনা হবে।

ট্যাক্স ও ভ্যাটসহ প্রতিটি গাড়ির দাম পড়বে ৯৪ লাখ টাকা। সে হিসেবে ৫০টির মূল্য দাঁড়াবে ৪৭ কোটি টাকা।

এছাড়া বৈঠকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় এলইডি সড়কবাতি সরবরাহ ও স্থাপনে একটি প্রস্তাবও নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানান অর্থমন্ত্রী। এতে ব্যয় হবে ৩৬৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

বৈঠকে জরুরি প্রয়োজনে ৫ বছরে ১৫ লাখ পার্সোনালাইজড ডুয়েল ইন্টারফেস পলিকার্বনেট মটর ড্রাইভিং লাইসেন্স ক্রয়ের প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। মহেলশখালি, মাতারবাড়ী এবং বাঁশখালী এলাকায় নির্মিতব্য কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসমূহের জন্য একটি ট্রান্সমিশন লাইন স্থাপনের প্রস্তাবও বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়।

এছাড়াও বৈঠকে চট্টগ্রামে রেলের পরিত্যক্ত জমিতে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় ৫০০ আসনের হাসপাতাল ও ১০০ আসনের মেডিকেল কলেজ স্থাপনে একটি প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৪৮৬ কোটি টাকা। ৬ একর জায়গার মধ্যে নতুন এই হাসপাতালটি নির্মাণ করা হবে।