যশোরের চৌগাছা উপজেলায় পুলিশের সাথে ‘কথিত বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম জহুরুল ইসলাম (৪০)।
রবিবার ভোর রাত তিনটার দিকে উপজেলার বল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনি নিহত হন। জহুরুল ইসলাম চৌগাছা উপজেলার আন্দুলিয়া গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, জহুরুল ইসলাম এলাকার একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে চৌগাছা থানা এবং ঝিনাইদহের কয়েকটি থানায় মাদক, মারামারিসহ অন্তত ১১টি মামলা রয়েছে। পুলিশ এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, এক রাউন্ড পিস্তলের গুলির খোসা এবং ১০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রিফাত খান বলেন, মাদকের একটি বড় চালান পাচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার বল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে পুলিশ অবস্থান নেয়। ভোর রাত তিনটার দিকে একদল মাদক ব্যবসায়ী পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও এ সময় পাল্টা গুলি চালায়। পুলিশের গুলির মুখে মাদকব্যবসায়ীরা পালিয়ে যান। এরপর সেখানে তল্লাশী করে মাদক ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলামের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপতাল মর্গে পাঠায়। এ সময় সেখান খেকে একটি পিস্তল, এক রাউন্ড পিস্তলের গুলির খোসা এবং ১০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, জহুরুল ইসলাম একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে চৌগাছা থানা এবং ঝিনাইদহ কয়েকটি থানায় মাদক, মারামারিসহ অন্তত ১১টি মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ১০টি মাদকের মামলা। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।