জিরাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নাজমার অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি

jessore map

যশোর সদর উপজেলার জিরাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নাজমা আক্তারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের সহকর্মি, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলের সাথে ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচারণ সহ দায়েরকৃত বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি।

ঐতিহ্যবাহী জিরাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের একাধিক অভিভাবকগণ ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

লিখিত অভিযোগের বরাতে জানাযায়, অত্রপ্রতিষ্ঠানের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের কাছে বিভিন্ন উপায়ে নিষিদ্ধ গাইড বই ও কাবড্রেস বিক্রয়, তাদের থেকে উপঢৌকন গ্রহণ, জন্মদিন ও উৎসব পালনে কেক সহ উপহার সামগ্রী ক্রয়ে চাঁদা আদায়, বিদ্যালয়ের আশপাশের ব্যক্তিদ্বয়ের কাছে টাকা-পয়সা লেনদেন করন সহ নানা অনিয়ম করে আসছে। এমনকি প্রতিনিয়ত একাধিক অভিভাবকদের সাথে অসংলগ্ন আচারণ, নানা অজুহাতে অকারনে কোমলমতী শিক্ষার্থীদের শারীরিক নির্যাতন চালান।

শিক্ষিকা নাজমা আক্তারের এধরনের আচারণে যশোর জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দ্বায়ের করেন আব্দুল হাই, অনিল পাল, শাহীন আলম সহ একাধিক ভুক্তভুগী অভিভাবক।

এপ্রেক্ষিতে গত- ১১-০৩-২০২০ ইং তারিখে জিরাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: সিরাজুল ইসলাম ও সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: সাইফুর রহমান। দির্ঘক্ষণ তদন্ত পূর্বক শিক্ষক নাজমা আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পান। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী অভিভাবকদের নিজে ও অঞ্চলের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করাতে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি প্রদর্শনে অভিযোগ রয়েছে।

এব্যাপারে বিদ্যালয়ের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের আলী বলেন, কয়েকজন অভিভাবক শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করেছে শুনেছি। এর আগে পরে আর কিছুই আমার জানা নেই। অভিযুক্ত শিক্ষিকা নাজমা আক্তার বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে বারবার চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ করেননি।