শ্রমিকদের বেতন দিতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ

করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে রফতনিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন দিতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার সন্ধ্যায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য আমি পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করছি। এ তহবিলের অর্থ দ্বারা কেবল শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা যাবে।

‘শিল্প উৎপাদন ও রফতানি বাণিজ্যে আঘাত আসতে পারে। এই আঘাত মোকাবিলায় আমরা কিছু আপদকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি’।

‘প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস জনস্বাস্থ্যসহ বৈশ্বিক অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক থাবা বসাতে যাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা আভাস দিচ্ছেন। আমাদের ওপরও এই আঘাত আসতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রফতানি আয় আদায়ের সময়সীমা দুই মাস থেকে বাড়িয়ে ৬ মাস করা হয়েছে। একইভাবে আমদানি ব্যয় মেটানোর সময়সীমা ৪ মাস থেকে বাড়িয়ে ৬ মাস করা হয়েছে। মোবাইলে ব্যাংকিং-এ আর্থিক লেনদেনের সীমা বাড়ানো হয়েছে।’

বিদ্যুৎ, পানি এবং গ্যাস বিল পরিশোধের সময়সীমা সারচার্জ বা জরিমানা ছাড়া জুন মাস পর্যন্ত বাড়ানো এবং এনজিওগুলোর ঋণের কিস্তি পরিশোধ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে যে কোনো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকার প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে সংকট মোকাবিলায় তার সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি এই সংকটময় সময়ে সবাইকে ধৈর্য্য ধরে সাহসিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, এই সংকটময় সময়ে আমাদের সহনশীল এবং সংবেদনশীল হতে হবে। কেউ সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করবেন না। বাজারে কোনো পণ্যের ঘাটতি নেই। দেশের অভ্যন্তরে এবং বাইরের সঙ্গে সরবরাহ চেইন অটুট রয়েছে। অযৌক্তিকভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি করবেন না। জনগণের দুর্ভোগ বাড়াবেন না। সর্বত্র বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।