যশোরের ঝিকরগাছায় কর্তব্যরত অবস্থায় এসিল্যান্ড ডা. কাজী নাজিব হাসানকে সজোরে ধাক্কাদিয়ে পালিয়ে যাওয়া সেই সুব্রত দাস ওরফে অতিম (৩২) কে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বুধবার সন্ধ্যায় আটক করেছে থানা পুলিশ।
আটক সুব্রত দাস ওরফে অমিত পৌরসদরের কৃষ্ণনগর গ্রামের (পুজা মন্দিরপাড়ার) মৃত-রতন কুমার দাসের ছেলে। এসময় তার নিকট থেকে একই রেজিষ্ট্রেশন নাম্বারের (যশোর-ল-১১-২৩৩৫) দুটি পালসার মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনার সাথে জড়িত উপজেলার বেনেয়ালী গ্রামের শাহাজাহান আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল শাকিলকে গত সোমবার আটক করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছিল।
- আরো পড়ুন
- চীনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মঈনের যশোরের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম
- হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেওয়া হলো আহত ঝিকরগাছার এসিল্যান্ড নাজিবকে
- সীমিত সময়ে খোলা থাকবে যশোরের কাঁচা বাজার ও মুদির দোকান
- যশোরে চিকিৎসার নামে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ : তিন মাসের অন্ত:সত্ত্বা
- যশোরে ছেলের মোটরসাইকেল থেকে পড়ে প্রাণ গেল মায়ের
- যশোরের আরো খবর
জানাগেছে, চলমান করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া ঝিকরগাছার সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) ডা. কাজী নাজিব হাসান রোববার বিকালে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের বেনেয়ালী নামকস্থানে নাম্বারবিহীন মোটরসাইকেল, লাইসেন্স বিহীন চালক, মাক্স ব্যবহার নিশ্চিত করনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করছিলেন। এসময় দ্রুত গতির উক্ত মোটরসাইকেলটির চালক সুব্রত দাস ওরফে অতিম মোটরসাইকেলের গতি না কমিয়ে (এসিল্যান্ড) ডা. কাজী নাজিব হাসানকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এসময় এসিল্যান্ড মারাত্বক আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সজ্ঞিয়রা দ্রুত তাকে যশোর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করে। দূর্ঘটনায় তার ডান পায়ের বেশ কয়েকটি স্থান ভেঙ্গে গেছে এবং কলারবোনও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
যশোর পঙ্গু হাসপাতালে এসিল্যান্ডের অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি নেয়া হয়। বুধবার সকালে ফরিদপুর মেডিকেল থেকে আহত এসিল্যান্ড ডা. কাজী নাজিব হাসানকে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উল্লেখিত ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিস সহকারী শাহাজালাল বাদি হয়ে ঝিকরগাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-২৪, তাং-৩০/০৩/২০২০ ইং।
এদিকে মামলার বর্তমান তদন্তকারী অফিসার ঝিকরগাছা থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই দেবব্রদ দাস তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনার মুলহোতা সুব্রত দাস ওরফে অমিতকে একই নাম্বারের দুটি মোটরসাইকেলসহ আটক করেছে। একই নাম্বারের দুটি মোটরসাইকেল পাওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উক্ত (যশোর-ল-১১-২৩৩৫) একই নাম্বারের লাল ও কালো রংয়ের মোটরসাইকেল দুটি কার নামে রেজিষ্ট্রেশন সে ব্যাপারে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন বলে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই দেবব্রত দাস জানাগেছে।