বগুড়ায় আইসোলেশন ইউনিটে কিশোরের মৃত্যু

বগুড়া ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে করোনাভাইরাস সন্দেহে বুধবার আরও দুইজনকে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে সিয়াম নামে ১৩ বছরের এক কিশোর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মারা গেছে। সে গত ৬-৭ দিন ধরে পা ব্যথা, পা ফুলে যাওয়া ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছিল।

তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে বলে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শফিক আমিন কাজল জানিয়েছেন।

তিনি জানান, ২৯ মার্চ থেকে মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশন ইউনিটের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরপর রংপুরের একজন, কুমিল্লার একজন ও বগুড়ার ধুনটের একজনকে ভর্তি করা হয়। তারা সবাই শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ডা. শফিক আমিন কাজল বলেন, বুধবার শহরের নাটাইপাড়ার এক তরুণী (২৫) ও গাবতলীর মহিষাবান গ্রামের আবদুল গফুরের ছেলে সিয়ামকে (১৩) ভর্তি করা হয়। ওই তরুণী মঙ্গলবার জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত কারণে টিএমএসএস মেডিকেল হাসপাতাল ও রফাতউল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি হন। বুধবার তাকে এ আইসোলেশন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে। চারজনের শরীর থেকে সংগ্রহ করা নমুনা রামেক হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, সিয়াম গত ৬-৭ দিন ধরে দুই পায়ে ব্যথা, হাঁটতে না পারা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিল। ভর্তির সময় সে অচেতন অবস্থায় ছিল। তার রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ নেমে আসে। ভর্তির পর তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে পরবর্তীকালে ফেল করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সিয়াম মারা যায়।