করোনায় ব্রিটেনে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড

গেল বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম ধরা পড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এরপর বিশ্বের অন্তত ২০০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাস। এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ লাখ ৩০ হাজার এবং মৃতের সংখ্যা ৫৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়াও এ ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন ২ লাখ ২০ হাজার।

এদিকে, করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রিটেনে আরও ৬৮৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। যা এই মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে একদিনে সর্বোচ্চ। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় মোট ৩ হাজার ৬০৫ জনের প্রাণহানি ঘটল।

শুক্রবার দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ব্রিটেনে একদিনে সর্বোচ্চ ৬৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দেশটিতে ৫৬৯ জন মারা যান করোনায়। যা আগের দিনের তুলনায় ২৪ শতাংশ বেশি ছিল। এছাড়া স্কটল্যান্ডে আজ মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৬ এবং ওয়েলসে ২৪ জন।

ব্রিটেনের স্বাস্থ বিভাগ জানায়, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা পর্যন্ত এক লাখ ৭৩ হাজার ৭৮৪ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৮ হাজার ১৬৮ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি ধরা পড়েছে। নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৪,৪৫০ জন। শতকরা হিসাবে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১৩.১% শতাংশ।

এদিকে, শুক্রবার সকালে লন্ডনের এক্সএল সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে নতুন আরও একটি হাসপাতাল। নতুন ৪০০০ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ব লন্ডনের নাইটিঙ্গেল হাসপাতালটি খোলে দিয়েছেন প্রিন্স চার্লস। ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তিনি করোনভাইরাস রোগীদের জন্য হাসপাতালটি উদ্বোধন করেন।

করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসার জন্য সরকারের প্রথম জরুরি পদক্ষেপের মধ্যে পূর্ব লন্ডনের এক্সকেল সেন্টারের মধ্যে নির্মিত এটিই প্রথম কোনো হাসপাতাল। অস্থায়ী এনএইচএস নাইটিঙ্গেল হাসপাতাল প্রায় ৪,০০০ রোগী ধারণে সক্ষম এবং সামরিক বাহিনীর সহায়তায় এনএইচএসের চিকিৎসকরা এখানে সেবা দিবেন।

ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে হাসপাতালটি খোলার সাথে সাথে প্রিন্স চার্লস কর্মীদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। কার্ডিফ, গ্লাসগো, ম্যানচেস্টার, হ্যারোগেট এবং ব্রিস্টলসহ ব্রিটেনজুড়ে অনুরূপ হাসপাতারের পরিকল্পনা করা হয়েছে।