যশোর সদর উপজেলার ইছালী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুরে সোমবার ত্রাণের চাল না পেয়ে বিক্ষোভ করেছেন গ্রামবাসী। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সেনা সদস্যরা সেখানে গিয়ে নতুন করে তালিকা তৈরি করে ত্রাণ দেয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা শান্ত হন।
ইছালীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কাওসার আলী জানান, ত্রাণের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আফজাল হোসেন তাকে স্লিপ দিয়েছেন মাত্র ৪টি। কিন্তু তিনি চেয়ারম্যানকে এক থেকে দেড়শ জনের তালিকা দিয়েছিলেন। তাই তার ওয়ার্ডের লোকজনকে ত্রাণের জন্য স্লিপ দিতে পারেননি। এ কারণে ত্রাণের স্লিপ না পেয়ে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মানুষ বিক্ষোভ করেন।
সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের এক নারী মেম্বার জানিয়েছেন, লোকজন চেয়ারম্যানের কাছে যায় না। মেম্বারের কাছে আসে। সে কারনে তারা বিপদে পড়েন। চেয়ারম্যান মাত্র চারটি ত্রান স্লিপ দিয়েছে। এতে কোন কাজ হয়নি। ফলে তারা যে তালিকা জমা দিয়েছিলেন তা ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হন। এতে ত্রান না পেয়ে লোকজন জেলা প্রশাসকের অফিসে গেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাফিজুল ইসলাম সেখানে যান। তিনি লোকজনের সাথে কথা বলেন। এবং চেয়ারম্যান এসএম আফজাল হোসেনের সাথেও কথা বলেন। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতার সাথে কথা বলে নতুন করে তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসন নিজেরা ত্রান দেয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিয়ে ফিরে যান।
যোগাযোগ করা হলে ইছালীর ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আফজাল হোসেন বলেন, তিনি এ পর্যন্ত কয়েক দফায় রামকৃষ্ণপুর ও গুচ্ছগ্রামে মোট ৬০টি পরিবারকে ত্রাণের সাহায্য দিয়েছেন। কিন্তু রামকৃষ্ণপুরে চাহিদা আরো বেশি। এ কারণে সেখানকার লোকজন বিক্ষোভ করেছেন। এ খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত এসে তাকে নিয়ে রামকৃষ্ণপুর গ্রামে যান। পরে তিনি বুঝিয়ে সুঝিয়ে লোকজনকে শান্ত করেছেন।
এদিকে সোমবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে যশোর শহরের রেলগেট এলাকায় খাদ্য সহায়তা না পেয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে কর্মহীন দরিদ্র নারী-পুরুষরা। এসময় তারা জীবন বাঁচাতে অবিলম্বে খাদ্য সহায়তার দাবি জানান। খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা সহায়তার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।