করোনায় মারা যাওয়া রোগীর হাসপাতালের বিল ১৮ লাখ টাকা!

coronavirus

ভারতের মুম্বাইয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৪ বছরের এক বৃদ্ধ। মৃত্যুর আগে ১৫ দিন ছিলেন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন। এ জন্য তার পরিবারের হাতে ১৬ লাখ রুপির একটি বিল ধরিয়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৮ লাখ টাকা।

সম্প্রতি মুম্বাইয়ের জুহুর বেসরকারি নানা-বতী হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা আক্রান্ত মুম্বাইয়ের সান্তাক্রজ এলাকার এক বৃদ্ধ। গত ৩১ মার্চ তাকে সংকটাপন্ন অবস্থায় নানা-বতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দিলে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। গত ১৫ এপ্রিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুর পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার পরিবারের কাছ থেকে আইসিইউ’র ভাড়া বাবদ ১৬ লাখ রুপি বিল নেয়।

বৃদ্ধের ছেলের অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শুধু কোভিড চার্জ নিয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার রুপি। এ ছাড়া ওষুধ ও আইসিইউ’র ভাড়া নিয়েছে ৮ লাখ ৬০ হাজার রুপি। অন্যান্য বিল ধরেছে ৪ লাখ ৬০ হাজার রুপি। যার মধ্যে বাবার মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া ধরা হয়েছিল ৮ হাজার রুপি।

তিনি আরও জানান, তার বাবার করোনা শনাক্ত হওয়ার পর পরিবারের সবাই কোয়ারেন্টাইনে ছিল। ফলে তার বাবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময় তারা কেউই হাসপাতালে যেতে পারেননি। সব সময় মোবাইল বা ইমেইলের মাধ্যমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন তারা। এ সময় দুইবার হাসপাতালে টাকাও জমা দিয়েছেন। পরে বাবার মৃত্যুর পর হাসপাতাল থেকে বিশাল অঙ্কের ওই বিলটি ধরিয়ে দেওয়া হয়।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই বৃদ্ধকে যখন ভর্তি করা হয় তখন তার অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। তার শরীরের অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ কাজ করছিল না। তার হৃদযন্ত্রে আগে একটি অস্ত্রোপচারও হয়েছে। তাই তাকে আইসিইউতে নিয়ে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দেওয়া হয়। সাতদিন পর তার কিডনিও কাজ করা বন্ধ করে দেয়।

বিলের বিষয়ে হাসপাতালের ডিরেক্টর মনপ্রীত সোহাল বলেন, ভারতের যেকোনো ভালো পরিষেবা-যুক্ত হাসপাতালেই দৈনিক এই ধরনের চার্জ নেওয়া হয়। কিছু কিছু হাসপাতালে এর থেকেও বেশি পরিমাণ অর্থ নেয়।