যশোরের অভয়নগরে মিল শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা

jessore map

যশোরের অভয়নগরের জুট মিলের শ্রমিক শেখ আতিয়ার রহমান ওরফে আতাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি অভয়নগর উপজেলার মোয়াল্লেমতলা গ্রামের মৃত. শেখ ইসমাইল হোসেনের ছেলে। নিহত আতাই এক সময়ে চরমপন্থী দলের সদস্য ছিল। প্রতিপক্ষ নিশানের স্বজনরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে পুলিশ ধারণা করেছে।

পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শেখ আতিয়ার রহমান ওরফে আতাইকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

জানা গেছে, খুলনার ফুলতলা থানার উত্তর ডিহি, পায়গ্রাম কসবা, ফুলতলা বাজার এলাকায় নিহত শেখ আতিয়ার রহমান ওরফে আতাই ও তার শ্যালক গিয়াসউদ্দিন চরমপন্থী দলের সক্রিয় সদস্য ছিল। গিয়াসউদ্দিন একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিত। ২০১৪ সালে আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গিয়াস উদ্দিন গ্রুপের হাতে প্রতিপক্ষ চরমপন্থী নিশান খুন হয়।

নিশান হত্যায় তার পরিবারের কেউ মামলা না করায় অভয়নগর থানা পুলিশ বাদী হয়ে গিয়াস উদ্দীন, নিহত শেখ আতিয়ার রহমান ওরফে আতাইসহ অন্যান্য আসামিদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার পর গিয়াস উদ্দীন ও নিহত শেখ আতিয়ার রহমান ওরফে আতাই ভারতে পালিয়ে যায়। সাক্ষ্য প্রমানের অভাবে নিশান হত্যা মামলাটি খারিজ হলে শেখ আতিয়ার রহমান ওরফে আতাই প্রায় এক বছর আগে দেশে ফিরে আসে এবং জেজেআই জুট মিলে বদলী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে থাকে।

নিশান হত্যার প্রতিশোধ নিতে নিশানের খালাতো ভাই লিমন, তার সহযোগী কাজী তারেক, মুন্নাসহ অন্যান্যরা শেখ আতিয়ার রহমানকে খুন করতে পারে বলে পুলিশ ধারণা করছে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, শেখ আতিয়ার রহমান ওরফে আতাই হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন এবং খুনিদের গ্রেফতারের লক্ষে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। অভয়নগর থানা পুলিশসহ যশোর জেলা পুলিশের উধর্তন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।