বেসরকারি মেডিকেলের চিকিৎসকদের বেতন দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট

high-court

বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মীর কর্তন ছাড়া সম্পূর্ণ বেতন-বোনাস দিতে বাধ্য করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।

হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ভার্চুয়াল বেঞ্চে চিকিৎসক এ এস এম আব্দুন নূরের পক্ষে জনস্বার্থে এ রিট করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইয়াদিয়া জামান। পরে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রিটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি ও রেজিস্ট্রার, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিট আবেদনে বলা হয়, গত ২ মে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের এক স্মারকে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারি চলাকালে বাংলাদেশের সব মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল গভীর সঙ্কটের সম্মুখীন হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তাই সংগঠনের সদস্যভুক্ত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষক, চিকিৎসক ও কর্মচারীদের উৎসব বোনাস প্রদান করা হবে না।

এপ্রিল মাসের বেতন যা মে মাসে প্রদান করার কথা তা সকল অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকদের মোট বেতনের ৬০ শতাংশ প্রদান করা হবে। তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির সকল কর্মচারী তাদের শতভাগ বেতন পাবেন। কলেজ স্টাফ যারা অনুপস্থিত তারা ৬০ শতাংশ বেতন পাবেন। যে সকল চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন, তাদেরকে বেতনের শতভাগ প্রদান করা হবে। যদিও পরে ৪ মে সেটা প্রত্যাহার করে নেয় তারা।

আগের স্মারক প্রত্যাহারের পর নতুন স্মারকে বলা হয়, বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের গত ২ মে তারিখে গৃহীত সিদ্ধান্ত মানবিক দিক বিবেচনা করে প্রত্যাহার করা হলো। এ বিষয়ে ভুল বুঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই।

বৃহস্পতিবার ইয়াদিয়া জামান বলেন, প্রায় ২০ হাজারের মতো চিকিৎসক বেসরকারি মেডিকেল কলেজে চাকরি করেন। তাদের যদি যথাযথ বেতন না দেয় তাহলে তারা ডিমোরালাইজড হয়ে যথাযথ চিকিৎসা দিতে সক্ষম হবেন না। তাই আমরা গত ৪ মে দেয়া স্মারকের বাস্তবায়ন চেয়ে রিট আবেদন করেছি।

রিটে হাসপাতাল কর্মীদের পরিপূর্ণ বেতন এবং কর্তন ছাড়া বোনাস দিতে বাধ্য করতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে বলে জানান ইয়াদিয়া জামান।

তিনি আরও বলেন, আগের জারি করা স্মারক গত ৪ মে তারিখে তাদের পক্ষ থেকে প্রত্যাহার করার কথা বললেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে পরিপূর্ণ বেতন বোনাস দিচ্ছে না তারা। তাই এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছে।