একদিনে করোনায় সর্বোচ্চ ২৪ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৬৯৪

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪৩২ জনে।

এই সময়ের মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৯৪ জন। এ নিয়ে সর্বমোট আক্রান্ত ৩০ হাজার ২০৫ জন।

এ ছাড়া নতুন করে ৫৮৮ জনসহ মোট ৬ হাজার ১৯০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

শুক্রবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন অধিদফতরটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ৯৯৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজার ৭২৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৬৯৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ২৪ জন। এই সময়ের মধ্যে নতুন করে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৮৮ জন।

ডা. নাসিমা জানান, শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০.৪৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১.৪৩ শতাংশ।

তিনি আরও জানান, মৃত্যুর বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২১-৩০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৩১-৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৫১-৬০ বছরের ৫ জন, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৮১-৯০ বছরের মধ্যে একজন মারা গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, মারা যাওয়া কোভিড রোগীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯ জন, বরিশালে একজন ও ময়মনসিংহে একজন রয়েছেন।

এর মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ১৫ জন, বাড়িতে ৮ জন এবং মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এসেছেন একজন।

আগের দিন বৃহস্পতিবার দেশে করোনাভাইরাসের রেকর্ড রোগী শনাক্ত হয়। ওইদিন দেশে ১ হাজার ৭৭৩ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, মৃত্যু হয় ২২ জনের।

প্রসঙ্গত গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।

২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।