ট্রাম্পের টুইট ‘হাইড’ করলো টুইটার

trump twite

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের একটি টুইট তার প্রোফাইল থেকে লুকিয়ে (হিডেন) রেখেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। বলা হয়েছে ওই টুইটটি সহিংসতার প্রশংসা বিষয়ক আইন লঙ্ঘন করেছে। তবে ট্রাম্পের ওই টুইটটি মুছে ফেলা হয়নি।

তার মূল টুইটের ওপর একটি সতর্কতা জুড়ে দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ, যা ক্লিক করলেই দেখা যাচ্ছে। পাশেই ভিউ বাটনে ক্লিক করলেই ট্রাম্পের মূল টুইট খুলে যাচ্ছে।

ওই সতর্কতায় বলা হয়েছে, টুইটার স্থিরভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ওই টুইটটি ওখানে জনগণের স্বার্থে থাকা উচিত। টুইটার ও হোয়াইট হাউজের মধ্যে উত্তেজনাকর অবস্থার এটা সর্বশেষ পরিস্থিতি। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ বিষয়ক মাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের মিনিয়াপোলিস শহরে একজন কৃষ্ণাঙ্গ মৃত্যুবরণ করে পুলিশের নির্যাতনে। এ নিয়ে সেখানে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। চলছে লুটপাট। এ নিয়ে টুইট করেছেন ট্রাম্প। এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, তিনি সেখানে ন্যাশনাল গার্ড পাঠাবেন। যদি লুটপাট শুরু হয় তাহলে তারা গুলি করা শুরু করবে। তার প্রথম এই টুইটের পরেই দ্বিতীয় টুইট ‘হাইড’ করেছে টুইটার। বলা হয়েছে, এতে সহিংসতার প্রশংসা বিষয়ক নিয়ম লঙ্ঘন হয়েছে।

তবে টুইট মুছে না দিয়ে সেখানে সতর্কতা জুড়ে দেয়ার মাধ্যমে টুইটই নিজের নিয়ম ভঙ্গ করেছে বলে বলা হচ্ছে। সামাজিক এই নেটওয়ার্ক কখনোই এই নিয়ম ট্রাম্পের ওপর প্রয়োগ করে নি। এমনকি তার কোনো টুইট এর আগে মুছে দেয় নি। বৃটেন ভিত্তিক সেন্টার ফর দ্য এনালাইসিস অব সোশাল মিডিয়া ডেমোস-এর কার্ল মিলার বলেছেন, আমি এ যাবত যা দেখেছি তার মধ্যে সবচেয়ে বড় সাহসী ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেছে টুইটার। এতে অনলাইনের ক্ষতি বনাম মুক্তভাবে কথা বলা নিয়ে বিতর্কে ঘি ঢালা হবে।

বছরের পর বছর ধরে ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে অন্য যেকোনো টুইটার ব্যবহারকারীর মতো আচরণ করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে টুইটার। তিনি টুইটারের নিয়ম মেনে চলুন এমন আহ্বানেও সাড়া দেয় নি টুইটার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গত বুধবার তারা ছোট্ট একটি পদক্ষেপ নেয়। এদিন তারা ট্রাম্পের টুইট মুছে না দিয়ে, তার সঙ্গে একটি সত্য অনুসন্ধানী লিঙ্ক জুড়ে দেয়। এর পরেই ট্রাম্পের সঙ্গে টুইটারের বিরোধ শুরু হয়ে যায়। এর ফলে টুইটারের সামনে দুটি পথ খোলা থাকে। এক. নমনীয় হওয়া। দুই নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া। তারা দ্বিতীয়টিকেই বেছে নিয়েছে। বলেছে, প্রেসিডেন্ট ‘গ্লোরিফাইং ভায়োলেন্স’ রুল লঙ্ঘন করেছেন। এমনটা হলে অন্য ব্যবহারকারীর ‍টুইট মুছে দেয়া হতো অথবা তাদের একাউন্ট স্থগিত করে দিতো টুইটার। কিন্তু এক্ষেত্রে দুটোর কোনোটিই করা অতোটা সহজ নয়। মুক্তভাবে কথা বলা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদারপন্থি কন্টেন্ট প্রকাশে তীব্র এক লড়াই শুরু হয়ে যাবে।