চীন প্রশ্নে রেগে সেরা অভিনেতার পুরস্কার প্রত্যাখ্যান জিৎ-এর!

সীমান্তে ইন্দো-চীন (Indo-China) উত্তেজনার আঁচ এবার ভারতের বাংলা ছবির ইন্ডাস্ট্রি টলিউডে! লাদাখের গালওয়ান সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে লালফৌজ। চীনাবাহিনী যেভাবে ভারতীয় জমি দখলের অভিযান চালাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে এবার গর্জে উঠলেন টলিউড অভিনেতা জিৎ। তবে নিজস্ব ভঙ্গীতে। একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের স্পনসর হিসেবে যুক্ত রয়েছে চীনা সংস্থা, আর ঠিক সেই কারণেই দেশের সম্মানে পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলেন জিৎ। “সীমান্তে গিয়ে লড়তে না পারলেও নিজের দেশের জন্য এটুকু তো করাই যায়!” সাফ মন্তব্য টলিউড অভিনেতার।

দিন দুয়েক আগেই চীনা অ্যাপ টিকটককে (TikTok) নিষিদ্ধ করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিনেত্রী সাংসদ নুসরাত জাহান। পাশাপাশি তৃণমূলের যুবশক্তির রাজ্য কো-অর্ডিনেটর তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীরও মন্তব্য ছিল, “অ্যাপ ব্যান করলে তো আর শহীদরা ফিরে আসবেন না!” তবে সেদিক থেকে একেবারে উল্টো পথে হেঁটেই অভিনব সিদ্ধান্ত নিলেন টলিউড সুপারস্টার জিৎ মদনানি। সংস্থার নামোল্লেখ না করেই পুরস্কার প্রত্যাখ্যানের কথা জানিয়েছেন অভিনেতা।

দিন কয়েক আগে এক সংস্থা চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানের জন্য ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেখানেই দর্শককের বিচারে সেরা অভিনেতার শিরোপা জিতেছিলেন জিৎ। স্বাভাবিকবশতই অনুষ্ঠানের দিন সেকথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু সীমান্তের যে বর্তমান পরিস্থিতি ভাবিয়ে তুলেছে অভিনেতাকে। সম্প্রতি লাদাখে ইন্দো-চীন সংঘর্ষে শহীদ হয়েছেন ২০ জন ভারতীয় সেনা, লালফৌজদের সেই ন্যাক্কারজনক ষড়যন্ত্র বিবেচনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে জিৎ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, সংশ্লিষ্ট সংস্থার দেওয়া পুরস্কার তিনি গ্রহণ করতে পারবেন না!
অভিনেতা জিতের (Jeet) মন্তব্য, “যে সমস্ত দর্শকরা আমাকে ভোট দিয়েছেন, যারা আমাকে ভালবাসেন, তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। পুরস্কার পেতে কার না ভাল লাগে বলুন! পরিবারের সদস্যরা, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব সবাই খুশিও হয়। বিশেষ করে বাড়ির বাচ্চারা ট্রফি দেখলেই আনন্দ পায়। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সংস্থার দেওয়া পুরস্কার গ্রহণ করতে কিছুতেই আমার মন সায় দিচ্ছে না!

আপত্তিটা ঠিক কোন কারণে? এপ্রসঙ্গে অভিনেতা সাফ জানিয়েছেন যে, “অনেকেই হয়তো জানেন না যে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সঙ্গে একটি চীনা কোম্পানি যুক্ত রয়েছে। আমার ব্যক্তিগতভাবে কারও সঙ্গে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু এই মুহূর্তে আমাদের দেশের সঙ্গে চিনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ভাল নয়। চীনের আগ্রাসী মনোভাবাপন্নের জন্যই শহিদ হতে হয়েছে আমাদের দেশের জওয়ানদের। আর এমতাবস্থায় কোনও মতেই আমি এই পুরস্কার নিতে পারব না। সীমান্তে গিয়ে লড়াই না করতে পারলেও নিজের দেশের জন্য তো এটুকু করাই যায়। তাই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করলাম।”