আরো ৩৪ মৃত্যু, শনাক্ত ২,৭০৯

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৭০৯ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৫৮১ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ দুই হাজার ৬৬ জন।

আজ শনিবার (১৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ২৯ জন পুরুষ এবং পাঁচজন নারী। এঁদের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১০ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৫৮১ জনের।

এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৪০ জন এবং নারী ৫৪১ জন। আর বয়স বিবেচনায় এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা এঁদের বয়স ০ (শূন্য) থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ২৯ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৭৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৮০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩৬৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৭৭২ জন এবং ষাটোর্ধ এক হাজার ১৩৮ জন।

জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের তিনজন, রাজশাহী বিভাগের পাঁচজন, খুলনা বিভাগের ছয়জন, সিলেট বিভাগের চারজন, বরিশাল বিভাগের একজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩২ জন এবং বাসায় দুইজন।

বিভাগ অনুযায়ী এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা ঢাকা বিভাগের এক হাজার ২৬৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৬৫৮ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৩৬ জন, খুলনা বিভাগের ১৫৬ জন, বরিশাল বিভাগের ৯৮ জন, সিলেট বিভাগের ১২০ জন, রংপুর বিভাগের ৮৯ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৫৭ জন।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৩৭৩ জন। এ নিয়ে দেশের করোনা সংক্রমণ থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ১০ হাজার ৯৮ জন।

ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১০ হাজার ৬৩২টি। একই সময় পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১০ হাজার ৯২৩টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে দুই হাজার ৭০৯ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ দুই হাজার ৬৬ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ লাখ ১৭ হাজার ৬৭৪টি।

আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৭৭৯ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫৩১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ৪১ হাজার ৫৩৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪০ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৪৯৮ জন।

কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে গেছেন এক হাজার ৭৮১ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট চার লাখ সাত হাজার ৩১১ জন। ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৩১৪ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৪৭ হাজার ৬১৮ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৯ হাজার ৬৯৩ জন।

সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে ৯৭ হাজার ২০৩টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে এক কোটি ৬৮ লাখ ২৮ হাজার ৩৯৮টি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

প্লাটফর্ম মুক্তপাঠ-এ অনলাইনে সেবা দেওয়ার জন্য গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্ত হয়েছেন আরো তিনজন চিকিৎসক। এ নিয়ে এই বিভাগে বর্তমানে মোট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৯২ জন। এ ছাড়া বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে হটলাইনে চার হাজার ২১৭ জন চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।