রঙিন কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে বিয়ে দাবির ৩ বছর পর অস্বীকার, প্রতারক আটক

Jessore map

মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় তার পর প্রেম সম্পর্কের এক পর্যায় বিয়ের প্রস্তাবে রাজী হলে রঙিন কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে বিয়ে হওয়ার কথা বলে এক সেবিকাকে (৩১) তিন বছর এক মাস বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করার পর বিয়ে অস্বীকার করার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ধর্ষক প্রতারক শেখ শামীম আল মামুনকে (৩২) গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেছে।

প্রতারক শেখ শামীম আল মামুন সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার দিয়া গ্রামের বর্তমানে যশোর শহরের ঘোপ জেলরোড অন্ধ হাফেজিয়া মাদ্রাসার সামনে মামুন এর বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত শেখ ফজলুল হকের ছেলে।

মঙ্গলবার (২১ জুলাই) দুপুরে কোতয়ালি থানায় দায়েরকৃত এজাহারে ওই সেবিকা (৩১) বলেছেন, শেখ শামীম আল মামুনের সাথে তার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয়। তার পর তাদের মধ্যে প্রেমজ সম্পর্ক ও মামুন নিজেকে অবাহিত বলে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সরল মনে তিনি বিয়ের প্রস্তাবে রাজী হন। ২০১৭ সালে ২ জুন সকাল ১০ টায় প্রতারক শেখ শামীম আল মামুন একটি রঙিন কাগজে স্বাক্ষর করে নিয়ে বিয়ের কথা বলে স্বামী স্ত্রী হিসেবে বসবাস শুরু করে। তাদের মধ্যে ঘর সংসার করা কালে শেখ শামীম আল মামুন তার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করে। তার আচারনে সন্দেহ সৃষ্টি হলে সেবিকা বিয়ের কাবিন নামা দেখতে চায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে নানা কথা সৃষ্টি হয়। ২০ জুলাই সোমবার রাত ৯ টায় পুনরায় খারাপ ব্যবহার করলে সেবিকা প্রতিবাদ করেন ও কাবিন নামা দেখতে চায়। মামুন ক্ষিপ্ত হয়ে সেবিকাকে বলে বেশি বাড়া বাড়ি করলে খারাপ হবে। মামুন তাকে বলে ভোগ করার জন্য ৩ বছর ১ মাস তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছে।

সেবিকা মঙ্গলবার সকালে যশোর কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এরপরই এসআই সেকেন্দার আবু জাফর প্রতারক শেখ শামীম আল মামুনকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে সেবিকার দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলায় আদালতে সোপর্দ করে। সেবিকার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।