বিশ্বের প্রথম ‘করোনা ভ্যাকসিন’ আগামী সপ্তাহে আনছে রাশিয়া

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের গবেষণা নিয়ে বিশ্বের নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান যখন রাত-দিন একাকার করে দিচ্ছে, তখন আগামী সপ্তাহে এই টিকা নিবন্ধনের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। ১২ আগস্ট এই টিকার নিবন্ধনের সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন রাশিয়ার গবেষকরা। অনুমোদন পেলে এটিই হবে বিশ্বের প্রথম করোনার ভ্যাকসিন। খবর দ্য মিন্ট ও টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

অনুমোদন পেতে যাওয়া এই টিকাটি যৌথভাবে তৈরি করেছে রাশিয়ার গামেলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। মানবদেহে তৃতীয় ধাপে এই টিকার ট্রায়াল চলছে, যা নিয়ে খুবই আশাবাদী দেশটি। তবে তড়িঘড়ি করে এই টিকা বাজারে আনা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।

রাশিয়ার ডেপুটি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওলেগ গ্রিদনেভ করোনা ভ্যাকসিন বাজারে আনার কথা নিশ্চিত করে বলেন, ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে, এ সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টিকাটি নিঃসন্দেহে মানবদেহের জন্য নিরাপদ হবে।

এই টিকা প্রথমে মেডিকেল প্রফেশনালদের দেয়া হবে, পরে দেশটির সিনিয়র সিটিজেনদের দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন বলছে, নিবন্ধনের পর টিকাটি ১৬০০ মানুষের দেহে পুশ করা হবে। টিকাটি মানবদেহের জন্য কতটা নিরাপদ ও কার্যকর সেটি যাচাইয়ের লক্ষ্যেই এ পরীক্ষা করা হবে।

গত সপ্তাহে রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মোরাস্কু জানান, রাশিয়ার উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন অক্টোবরে সর্বস্তরে দেয়া হবে। রাষ্ট্রীয় খরচে এই ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে।

জানা গেছে, করোনার টিকার তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা বর্তমানে দেশটির বারডেনকো সামরিক হাসপাতাল ও সেচেনভের মস্কো স্ট্যাট মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে করা হচ্ছে।

রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত এই ভ্যাকসিনটি যাদের দেহে পুশ করা হয়েছে, সবাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

রাশিয়ার ভ্যাকসিনটির বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, যে কোনো ভ্যাকসিনকেই পরীক্ষাগারে সব ধরণের পর্যায়ে শেষ করে আসতে হবে। সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই সেটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের স্বীকৃতি পাবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ক্রিস্টিয়ান লিন্ডমেয়ার জেনেভায় জাতিসংঘের এক অনুষ্ঠানে বলেন, যে কোনো ভ্যাকসিনকেই নিবন্ধনে আগে সব ধরনের পরীক্ষা ও ট্রায়াল শেষ করতে হবে। করোনা ভ্যাকটিনের ক্ষেত্রেও এমনটি হবে।