যশোরে করোনায় আরো ১ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬১ জনের

coronavirus jessore map

যশোরে নতুন করে আরো ৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টার মঙ্গলবার ১৮৯ টি নমুনা পরীক্ষা করে বুধবার ৬১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ্য হয়েছেন ৫৪ জন। মারা গেছেন ১ জন।

এ নিয়ে যশোরে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৩ এ। আর এপর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ২৩ শ ৮৯ জন। মোট সুস্থ্য হয়েছে ১৩ শ ৬২ জন।

মৃত সমীর সিংহ (৫৫) শহরের কাজিপাড়া কাঠালতলা এলাকার বাসিন্দা। সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রেহেনেওয়াজ জানান, সমীর সিংহ জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে গত ২ আগস্ট জেনারেল হাসপাতালে নমুনা দেন। বিজ্ঞান প্রযুক্তির জিনোম সেন্টারে ৪ আগস্ট দেয়া ফলাফলে তিনি করোনায় আক্রান্ত বলে রিপোর্ট আসে। বুধবার ১২ আগস্ট ভোর ৪ টার দিকে তিনি বাসায় মারা যান।

আক্রান্তদের মধ্যে যশোর শহরসহ সদর উপজেলায় ১২ জন রয়েছেন। এছাড়া চৌগাছা উপজেলার ৯ জন, কেশবপুরে ৮, শার্শার ৮, অভয়নগরের ২৩ ও বাঘারপাড়ার ১ জন রয়েছেন।

যশোর শহরসহ সদর উপজেলায় আক্রান্তরা হলেন, বড়বাজারের আসাদুজ্জামান (৩২), ঘোপ ডিআইজি রোডের হারন অর রশিদ (৩২), জাহিদ হাসান (৩০), পাঁচবাড়িয়ার নাজমুল হাসান সুমন (৩৮), নলডাঙ্গা রোডের শেফালি আক্তার (৩৮), ইছালী ইউনিয়নের মকলেচুর রহমান (৩৩), উপশহরের নাজমা (৪০), ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের মাহমুদুল (৩৮), বেজপাড়ার প্রান্তিক (১০) লক্ষ্মী (৩১), পুরাতন কসবা কাজীপাড়ার সাইদুর রহমান (৪৩) ও মহিরুল আজম (৬৭)।

চৌগাছা উপজেলার ইছাপুর গ্রামের আব্দুল হাকিম (৫০), বাগপাড়ার বিলকিস বেগম (৫০) ও জলি বেগম (৩৮), কালিতলার সাইফুল ইসলাম (৫৩), চৌগাছা শহরের নিরিবিলিপাড়ার সালেহা শবনম (২৪), চাঁদপুরের এমএম বাবুল (৪৯) লাকি আক্তার (৪৪) পাতিবিলার শওকত (৪৫)।

কেশবপুর উপজেলার সুজন দাস (২০), কামরুন নাহার (৪২), শেখ আবুল কাশেম (৫৮) ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিউলি খাতুন (২৯)। এছাড়া কেশবপুরে নমুনা দেওয়া অভয়নগরের আবু সায়েদ (৪৬) আলতাপোলের চিত্ত পাল (৭০) নামে দুই ব্যক্তিও আক্রান্ত হয়েছেন।

অভয়নগর উপজেলায় শনাক্ত হয়েছেন বুইকারার ইখতিয়ার হোসেন টুটুল (২৮), আতাউর রহমান খান (৬৬), তৈবুর রহমান (৫৩), সেলিনা বেগম (৫২), মিতা জামান (৩৮), অহনা জামান (১৫), সাহারা অনিকা (১৫) ও রাসেল তুহিন (৩৩), দেবীপুরের রেহেনা পারভীন (৪৩),পালবাড়ির আবু কাশেম মোড়ল (৬৭), পালপাড়ার শ্যামল রায় (৪৩), পায়রার আবুল কাশেম (৮০), শংকরপাশার আদাদুজ্জামান (৫৫), খলশির সৈয়দ সামসুর রহমান (৪৭), নওয়াপাড়া বাজারের ইকরামুল কবীর (৪৭), অভয়নগর থানার শাহ আলম (৩৮), গুয়াখোলার কামরুন্নেসা (৫৫), নওয়াপাড়ার পেয়ারা বেগম (৬০) ও বেলাল হোসেন (৩৮), দেয়াপাড়ার নাজমুল (৪৬)। ঠিকানা পাওয়া যায়নি মিজানুর রহমান (৫৯), দুর্লভ মন্ডল (৩২) ও বিলকিস বেগম(৫০) নামে তিনজনের।

শার্শা উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন তিন নম্বর ওয়ার্ডের তোফাজ্জেল হোসেন (৩৯) ও আসমা সুলতানা (৩৩), শার্শা থানার রবিউল ইসলাম (২৮), বেনাপোলের আব্দুল মোতালেব (৬৮), তরিকুল ইসলাম (৩৭) ও শহীদ ইসলাম (৪২), দুর্গাপুরের আবুল হাসান (৩১) ও শিক্ষা অফিসের হারুন অর রশীদ (৩৭)।

বাঘারপাড়া উপজেলায় একমাত্র শনাক্ত হয়েছেন দরাজহাটের রেবারানি (৪০) নামে এক নারী।

স্বাস্থ্য বিভাগ স্থানীয় প্রশাসনকে এই তালিকা সরবরাহ করেছে। শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের বাড়ি লকডাউনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা।