মানবাধিকার সংগঠক ও লেখক মোস্তফা সোহেলের মৃত্যু, যশোরে দাফন

বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক, কবি, লেখক মোস্তফা সোহেল (৫০) আর নেই (ইন্না…রাজিউন)। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর গ্রিণ হসপিটালে তার মৃত্যু হয়।

তিনি কিডনি জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে, স্ত্রী ও অসংখ্য গুনাগ্রাহী রেখে গেছেন। বুধবার বাদ এশা বেজপাড়া বিহারী কলোনী মসজিদে জানাজা শেষে স্থানীয় তালতলা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

মোস্তফা সোহেল ১৯৭০ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর যশোর শহরের বেজপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। এসএসসি ও এইচএসসি যশোরে সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স করেন। তিনি বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে দেশী বিদেশী মানবাধিকার সংস্থায় কাজ করেছেন। কবি লেখক হিসেবেও তিনি সুপরিচিত ছিলেন। তার লেখা অন্তত ১২টি বিভিন্ন গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।
দৈনিক প্রথম আলো বন্ধুসভা, ভোরের কাগজের পাঠক ফোরাম, মেলা, দৈনিক দেশ, আজকের কাগজ, যায়যায়দিন-এ নিয়মিত নানা বিষয়ে লিখেছেন। তবে ১৯৯৯ সালে ‘হাত বাড়ালেই ছুঁয়ে দেবো’ এবং ২০১০ সালে ‘নিঃসঙ্গ টারমিনাল’ নামে তার দুটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এরপর ২০১১ সালে প্রকাশিত হয় তার দুটো উপন্যাস ‘তুমি আমায় প্রথম ছুঁয়েছিলে’ ও ভালোবাসার এক রুপালি রাত, ২০১২ সালে প্রকাশিত হয় ‘আনন্দবাড়ি’ ও বুনো জ্যোৎস্নায় নামে আরো দুটো উপন্যাস। ২০১৩ সালে মুখোশ, ২০১৪ সালে নেতা এবং ২০১৫ সালে সর্বাধিক বিক্রিত উপন্যাস ভালোবাসা ও একটি জলফড়িং প্রকাশিত হয়। ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয় উপন্যাস -বধূ কোন আলো ও গল্প গ্রন্থ প্রেম পাখি ও জোনাকির গল্প । তিনি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন পুরস্কার লাভ করেন।