শচীনের ‘প্রথম সেঞ্চুরি’র তিন দশক পূর্তি

৩০ বছর আগে ওল্ড ট্র্যফোর্ডে শচীন টেন্ডুলকারের ম্যাজেস্টিক ১১৯ রানের ইনিংসে টেস্ট বাঁচিয়েছিল ভারত৷ শুধু কি তাই! এটাই ছিল ক্রিকেট ঈশ্বরের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি৷ এর পর লিটল মাস্টারের ব্যাট থেকে এসেছে আরও ৯৯টি আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি৷

১৮ অগস্ট, ১৯৯০৷ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অপরাজিত সেঞ্চুরি করে টেস্ট বাঁচিয়ে ক্রিকেটবিশ্বের বাহবা কুড়িয়েছিলেন ১৫ বছরের এক কিশোর৷ যার বীজ বপন হয়েছে এর এক বছর আগে শিয়ালকোটে৷ ১৯৮৯ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেকেই ক্রিকেটবিশ্বের সামনে তার প্রতিভা তুলে ছিলেন স্কুলের গণ্ডি না-পেরনো এক মারাঠি৷ বাকিটা ইতিহাস৷ প্রায় আড়াই দশক বাইশ গজে বোলারদের শাসন করেছে তার ব্যাট৷

৩০ বছর আগে প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির স্মৃতিচারণায় একদিন আগেই তার অনুভূতির কথা জানান শচীন৷ বৃহস্পতিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এক সাক্ষাৎকার তিনি বলেন, ‘আমি ১৪ অগস্টে ১০০ রান করেছিলাম৷ পরের দিনটি ছিল আমাদের স্বাধীনতা দিবস৷ তাই এটি বিশেষ ছিল। তবে শিরোনাম ছিল আলাদা৷ কারণ এই সেঞ্চুরি কমপক্ষে ওভালের টেস্ট পর্যন্ত সিরিজটি বাঁচিয়ে রেখেছিল৷’

অর্থাৎ স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগের দিনে ম্যাঞ্চেস্টারে ব্রিটিশ বোলারদের শাসন করেছিল ভারতীয় এই কিশোরের ব্যাট৷

মাইলফলক অর্জনের খাঁটি আনন্দ বাদে ঠিক কী অনুভূতি হয়েছিল? প্রশ্নের উত্তরে শচীন বলেন, ‘টেস্ট ম্যাচ বাঁচানোর শিল্পটি আমার কাছে ছিল একটি নতুন অভিজ্ঞতা৷’

তবে তিনি জানতেন, ওয়াকার ইউনুসের বাউন্সারের আঘাতের “রক্তাক্ত নাক” এবং রক্তে ভিজে জার্সি পরে ব্যাট করে ম্যাচ বাঁচাতে পারবেন।

অভিষেক সিরিজে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শিয়াকোট টেস্টের অভিজ্ঞতা স্মরণ করে সচিন বলেন, ‘শিয়ালকোটে যেখানে আমি আঘাত পাওয়ার পরও ৫৭ রান করেছিলাম৷ সেখানে আমরা টেস্ট ম্যাচটিও বাঁচিয়েছিলাম ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরও৷ ওয়াকারের বাউন্সারে ব্যথার পাওয়ার পরে আমি খেলার মধ্যে ফিরি৷ এই ধরণের আঘাত পাওয়ার পরে আপনি হয় আরও শক্তিশালী হবেন বা আপনাকে আর কোথাও দেখা যাবে না।’