যশোর শহরের সিটি কলেজ পাড়ার মেহেদি হাসান সাগর হত্যা মামলায় আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিআইডি পুলিশ। নারী ঘটিত মাদক ব্যবসা নিয়ে তাকে খুন করা হয়েছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করে ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন, সিটি কলেজ বৌ বাজার এলাকার ওহিদুল ইসলামের ছেলে আবু হুরাইরা, একই এলাকার বারেকের ছেলে রাকিব, খুলনা দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর গ্রামের বর্তমান বারান্দী মোল্যাপাড়া এলাকার তরিকুল ইসলামের ছেলে আশিকুল ইসলাম আশিক, সিটি কলেজ বৌবাজার এলাকার শহিদের ছেলে আলামিন, শামসুর রহমানের ছেলে মুরাদ ও জাহিদের স্ত্রী মোছাঃ মঞ্জুরা।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশের উপ পুলিশ পরিদর্শক অনুপ কুমার দাশ তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট জমাদেন। নিহত সাগর যশোর শহরের সিটি কলেজ পাড়ার বৌবাজার এলাকার জালাল হোসেনের ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী সন্ধারপর সাগর মনিহার সিনেমা হলের পাশে বাবার চায়ের দোকানে কাজ করছিলো। এমন সময় হুরায়রা এসে সাগরকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে অন্য আসামিরা একত্রিত হয়ে বৌবাজর কলোনী জামে মসজিদের পেছনে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতারে ভর্তি করে। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পহেলা মার্চ সাগরের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে উপরে উল্লেখিত আসামিদের নামে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন।
মামলাটি প্রথমে কোতোয়ালী থানার ইন্সপেক্টর আলমগীর হোসেন মামলাটি তদন্ত শুরু করেন। পরে মামলার তদন্তের দায়িত্বপায় সিআইডি পুলিশ। পরে তথ্য প্রযুক্তির সহযোগীতায়ঘটনার ১১ মাসপর গত বছরের ২১ জানুয়ারী মামলার প্রধান আসামি আবু হুরায়রাকে মাগুরা জেলার নান্দুয়ালী এলাকা থেকে আটক করে। পরে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। একে একে অন্য আসামিদের সংশ্লিষ্টতাও বেরিয়ে আসে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চার্জশিটে আরো উল্লেখ করেন, আসামি মুরাদের সাথে মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে পূর্ব শক্রতা ও নদী নামের একটি মেয়ের সাথে সাগর, হুরায়রার উভয়ের প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্রকরে আসামিরা সাগরকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে।