অক্টোবরে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা

অক্টোবর মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হলেও দু’টি নিম্নচাপের আভাস রয়েছে। এক্ষেত্রে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, আগামী অক্টোবরের প্রথমার্ধের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু তথা বর্ষা বাংলাদেশ থেকে বিদায় নেবে। তাই বৃষ্টিপাতও স্বাভাবিক হবে। তবে এ মাসে বঙ্গোপসাগরে ১ থেকে ২টি নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে অন্তত একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

বঙ্গোপসাগর তথা ভারত মহাসাগর বা আরব সাগর থেকে কোনো ঝড় যদি আগামী অক্টোবরে আসে তবে তার নাম গবে ‘গতি’। আর এই নামটি দিয়েছে ভারত। ইতোমধ্যে ভারত মহাসাগর ও আরব সাগর থেকে এ বছর দু’টি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে। গত ২০ মে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানে আম্পান। এটি সুপারসাইক্লোনের শক্তি সঞ্চয় করেছিল। যদিও বাংলাদেশে তেমন ক্ষতি হয়নি, যতটা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। এরপর ৩ জুন আরব সাগরে সৃষ্টি হওয়া নিসর্গ আঘাত হানে মহারাষ্ট্রে। মহারাষ্ট্র, গুজরাটে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয় এতে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসেও ১ থেকে ২টি নিম্নচাপ হতে পারে। তবে এতে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো শঙ্কা নেই। এ মাসেও স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বিদ্যমান থাকবে। মাসের শুরুতেই তেমন বৃষ্টিপাত নেই। তবে রয়েছে ভ্যাপসা গরম। বর্তমানে মৌসুমী বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাংশ হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আর মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।

এই অবস্থায় রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরণের ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সার্বিকভাবে বৃষ্টিপাত গত সপ্তাহের তুলনায় কমে এসেছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় বেড়েছে গরম অনুভূতিও। এ সপ্তাহে অতিভারী বর্ষণের কোনো আভাস নেই। ফলে ভ্যাপসা গরম আরো কয়েকদিন থাকতে পারে। সোমবার দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে হাতিয়ায়, ২৬ মিলিমিটার। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মংলায়, ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি।