দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় এক ক্লিনিক ব্যবসায়ীকে মারপিটের ঘটনায় মামলা

দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় হাবিবুর রহমান (৪৩) নামে এক ক্লিনিক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামালা চালিয়ে মারপিটের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। আহত হাবিবুর রহমান ঝিকরগাছা উপজেলার সদিরালি গ্রামের মৃত খোদাবক্স মন্ডলের ছেলে বর্তমানে চাঁচড়া রায়পাড়া কয়লাপট্টি লাভলু ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ির বাড়াটিয়া। গত ৫ সেপ্টেম্বর রাতে হামলা ও চাঁদাবাজির ঘটনাটি ঘটে।

এঘটনায় হাবিবুর রহমান ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৫/৬ জনকে আসামি করে সোমবার ৭ সেপ্টেম্বর কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছে চাঁচড়ারায় পাড়া কয়লাপট্টির ই¯্রাইল ড্রাইভারের ছেলে স্বজল (২৫), জামালের ছেলে বাবু খাঁ (২৬), টুলুর ছেলে আশিক (২১), মুন্নার ছেলে নাইম (৩০), মৃত বদরার ছেলে বাপ্পি (২৭), খলিলের ছেলে রেজাউল (২৪), কাবিলের ছেলে রিয়াজ (২০), ও পিতা অজ্ঞাত সোহেল (২৩)। এদের মধ্যে পুলিশ ২ জনকে আটক করেছে। আটককৃরা হচ্ছে চাঁচড়া রায়পাড়া কয়লাপট্টির জামালের ছেলে বাবু খাঁ ও একই এলাকার মৃত বদরার ছেলে বাপ্পি।

হাবিবুর রহমান মামলায় উল্লেখ করেছেন, আসামিরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। এরা এলাকায় চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে বেড়ায়। এলাকার নিরীহ লোকজন ওই সব সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। আসামিরা ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে অস্ত্র দেখিয়ে খুন জখম করার হুমকি দিয়ে আসছিলো। গত ৫ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টায় আসামিরা ধারালো অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন সন্ত্রাসী নিয়ে আমার ভাড়া বাড়িতে চড়াও হয়। সন্ত্রাসীরা আমার কাজে দাবিকৃত ৩০ হাজার টাকা চাঁদা চায়। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আসামিরা আমাকে গালিগালাচসহ খুন জখম করার হুমকি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। আমার প্যান্টের পকেটে থাকা সাড়ে ৩ হাজার টাকা চাঁদা হিসেবে নিয়ে নেয়। ঘটনার সময আমার স্ত্রী জেসমিন আক্তার মেয়ে আসমা তারা, রুকাইয়া খাতুন, শ^াশুড়ি সুফিয়া খাতুন ঠেকানোর চেষ্টা করলে তাদেরকে হত্যার হুমকি দেয়। প্রাণ ভয়ে তারা পাশের রুমে আশ্রয় নেয়। ঘটনাটি প্রতিবেশিরা জানতে পেরে এগিযে আসলে সন্ত্রাসীরা আমাকে ও আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিযে চলে যায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চাঁচড়া ফাঁড়ির এস আই মফিজুর রহমান জানান, সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে চ্ঁচড়া কয়লাপট্টি এলাকা থেকে চাঁদাবাজি মামলার দুই আসামি বাবু খাঁ ও বাপ্পিকে আটক করা হয়। বাকি আসামিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।