আরব দেশগুলোকে ফিলিস্তিনিদের হুশিয়ারি

ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয়া বাহরাইনি পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাহরাইন থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকেও পাঠিয়েছে।

ইহুদিবাদী অবৈধ রাষ্ট্রটির সঙ্গে দুটি আরব দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ফিলিস্তিনিরা।

শনিবারের এ বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের ছবি পোড়ায় ক্ষুব্ধ ফিলিস্তিনিরা। খবর আল জাজিরার।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, ইসরাইলের সঙ্গে আমিরাত এবং বাহরাইনের এ চুক্তির ফলে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আরব বিশ্বের দীর্ঘদিনের শক্ত অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়বে, যার ফলে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রগঠনের পথও কঠিন হয়ে যাবে।

ইসরাইলের দখলকৃত পশ্চিম তীরভিত্তিক সংগঠন প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) বাহরাইনের চুক্তিকে ফিলিস্তিনি স্বার্থে আরেকটি বিশ্বাঘাতকতার ছুরিকাঘাত বলে উল্লেখ করেছে।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস বলছে, বাহরাইনের এ পদক্ষেপে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের জন্য ভয়াবহ ক্ষতি হল।

মুসলিম বিশ্বকে হুশিয়ারি দিয়ে হামাস আরও বলে, আরব দেশগুলো একের পর এক ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার যে উদ্যোগ নিচ্ছে তা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি কথিত ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’র ফসল।

দশকের পর দশক ধরে আরব দেশগুলো ইসরাইলকে বয়কট করে আসছিল। ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান হলেই কেবল তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন হতে পারে, এমন ইঙ্গিত ছিল তাদের।

এর ব্যতিক্রম ঘটিয়ে ১৩ আগস্ট সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয়। এবার বাহরাইনও একই পথ ধরল।

আরব লীগের সদস্যদের মধ্যে উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মৌরিতানিয়া ১৯৯৯ সালে ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করলেও ১১ বছর পর, ২০১০ সালে তা ছিন্ন করে।