ফার্স্ট লেডির চেয়ে ট্রাম্পের ‘উপসর্গ বেশি’

করোনায় আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, শ্বাসকষ্টের পর তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

ফক্স নিউজের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের চেয়ে প্রেসিডেন্টের অবস্থা বেশি গুরুতর বলেই তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

ট্রাম্পের শ্বাসকষ্টের খবর আসার পর হোয়াইট হাউজের চিকিৎসক শান পি কনলি জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টকে রেমডিসিভিরের ডোজ দেয়া হয়েছে।

চিকিৎসক বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প ভালো আছেন। অক্সিজেন লাগছে না।’

সিএনএন লিখেছে, ‘ট্রাম্পের অবস্থা গুরুতর হওয়ার শঙ্কায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

একজন উপদেষ্টা এই গণমাধ্যমটিকে বলেন, ‘অবস্থা মারাত্মক।’

হাসপাতালে যাওয়ার আগে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেন, ‘ওয়াল্টার রিড হাসপাতালে যাচ্ছি। আমি ভালো আছি। কিন্তু সবকিছু যেন ঠিক থাকে সেটি আমরা নিশ্চিত করতে চাচ্ছি।’

স্ত্রীর কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘ফার্স্টলেডি ভালো আছেন। আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমি এর প্রশংসা করি। কখনো ভুলব না।’

মৃদু উপসর্গ দেখা দেয়ায় স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকালে সত্তরোর্ধ্ব ট্রাম্পকে মেরিল্যান্ডের ‘ওলটার রিড ন্যাশনাল মিলিটারি মেডিক্যাল সেন্টারে’ ভর্তি করা হয়।

ওইদিন সন্ধ্যায় এক লিখিত বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজের চিকিৎসক শন কনলি জানান, আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি প্রেসিডেন্ট ভালো আছেন।

তাকে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে না। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে আমরা রেমডিসিভির থেরাপি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এরইমধ্যে প্রেসিডেন্টকে ওষুধের প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। তিনি খুব শান্তভাবে বিশ্রাম নিচ্ছেন।

এর আগ দেয়া এক বিবৃতিতে ডা. কনলি বলেছিলেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে হোয়াইট হাউজে থাকতে ট্রাম্পকে রেজেনেরন ফার্মাসিটিক্যালের পরিক্লোনল অ্যান্ডিবডি ককটেল দেয়া হয়।

ওই ওষুধটি শরীরে ভাইরাসের বিস্তার হ্রাস করে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে সহায়তা করে।

উল্লেখ্য, ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিকসের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর শুক্রবার ট্রাম্প নিজেও করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান।

বয়স এবং ওজনের কারণে ট্রাম্প রোগ মারাত্মক আকার ধারণের ঝুঁকিতে আছেন। ৭৪ বছর বয়সের ট্রাম্পের বডি ম্যাস ইনডেক্স (বিএমআই) ৩০ এর ওপরে, যাকে বলা যায় ওজনাধিক্য বা স্থুলতা।

ফার্স্ট লেডি মেলানিয়ার বয়স ৫০ বছর। তার শরীরেও মৃদু উপসর্গ দেখা দিয়েছে বলে জানান ডা. কনলি। বলেন, ফার্স্ট লেডির হাল্কা কাশি এবং মাথাব্যাথা হচ্ছে।

ট্রাম্প-মেলানিয়া দম্পতির একমাত্র ছেলে ব্যারন তাদের সঙ্গেই হোয়াইট হাউজে থাকে। ব্যারনের পরীক্ষার ফল ‘নেগিটিভ’ এসেছে।