ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় আরো চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় একমাত্র আসামি মজনুর বিরুদ্ধে আরো চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোসা. কামরুন্নাহারের আদালতে এ সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে মামলাটিতে মোট ২৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি মজনুর পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী রবিউল ইসলাম রবি তাদের জেরা করেন। জেরা শেষে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এর আগে আসামি মজনুকে আদালতে হাজির করা হয়। তার উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

গত ২৬ আগস্ট এ মামলায় মজনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ভার্চ্যুয়াল আদালত। আর এর মধ্যে দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর গত ২০ সেপ্টেম্বর মামলার বাদী ও ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী বাবা আদালতে প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। তার পরের দিন গত ২১ সেপ্টেম্বর এ মামলার ভুক্তভোগী আসামি মজনুর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন এবং মজনুকে ধর্ষক হিসেবে চিহ্নিত করে। এর আগে গত ১৬ আগস্ট এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে এ দিন ধার্য করেন আদালত। এর আগে গত ১৬ মার্চ মজনুকে একমাত্র আসামি করে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আবু সিদ্দিক। ওইদিনই আদালত মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য নারী ও শিশু দমন ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।

গত ৫ জানুয়ারি ওই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন। পরে ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) বলেন, ‘ এ মামলায় আর দুজন তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষীর মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হবে। এই মাসেই মামলাটি শেষ হয়ে যেত। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সাক্ষ্য দিতে পারেননি। যেকারণে একটু দেরি হচ্ছে। তবে আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের দিকে বিচারকার্য শেষ হয়ে যাবে।’