রোহিঙ্গাদের ফেরাতে গ্রিসের সহযোগিতা চাইলেন রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরাতে গ্রিসের সহযোগিতা চেয়েছেন দেশটিতে নবনিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আসুদ আহমেদ। গ্রিসের রাষ্ট্রপতির কাতেরিনা সেকেল্লারাপুলোর কাছে পরিচয়পত্র পেশ করার সময় এই সহযোগিতা কামনা করেন রাষ্ট্রদূত।

রবিবার গ্রিসের এথেন্সের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, এথেন্সে অবস্থিত গ্রিসের প্রেসিডেন্সি ভবনে আয়োজিত এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে গ্রিক রাষ্ট্রপতি কাতেরিনা সেকেল্লারাপুলোর কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তার পরিচয়পত্র পেশ ধরেন। পরিচয়পত্র পেশের পর গ্রিক রাষ্ট্রপতি এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে একটি একান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে গ্রিসের রাষ্ট্রপতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রদূতকে অভিনন্দন জানান। রাষ্ট্রদূত তাকে গ্রহণ করার জন্য গ্রিক রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান এবং রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।

রাষ্ট্রদূত গ্রিস সরকারের সার্বিক সমর্থন প্রত্যাশা করে তার পূর্বসূরির মতো তাকেও সহযোগিতা প্রদানের জন্য আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ ও গ্রিসের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের স্বার্থে পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার ক্ষেত্রে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরেই যেসব দেশ বাংলাদেশকে প্রথমে স্বীকৃতি দিয়েছিল গ্রিস তাদের অন্যতম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিশেষত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সূচকে ক্রমাগত ঊর্ধ্বমুখী অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত গ্রিসের রাষ্ট্রপতিকে জাহাজ নির্মাণ, পর্যটন, পোশাকশিল্প ও জ্বালানিসহ অন্যান্য খাত সম্পর্কে অবহিত করে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান করেন।

গ্রিসের রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রদূতের উত্থাপিত বিষয়সমূহকে অত্যন্ত গুরুত্ব প্রদান করে এসকল বিষয়ে তার সার্বিক সমর্থন ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

তিনি গ্রিসে অবস্থানকালে রাষ্ট্রদূতের মঙ্গল কামনা করেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, তার দায়িত্বপালনের সময়ে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বেগবান হবে।

তিনি দুই দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্যমান ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ে তার সন্তুষ্টি ব্যক্ত করেন এবং আগামী দিনগুলোতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক নিবিড়তর বলে আশা প্রকাশ করেন।