রায়পুর স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক অমলেন্দু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত

jessore map

নানা অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুর স্কুল এন্ড কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক অমলেন্দু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এবার তাকে স্থায়ী বরখাস্তের অনুমতির জন্য আপীল এ্যান্ড আরবিট্রেশন বোর্ডে আবেদন করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর গভার্নিং বডির সভাপতি বিল্লাল হোসেনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এছাড়াও একমাস আগে দূর্নীতিসহ নানা অপরাধে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান জামাতকেও স্থায়ী বরখাস্তের জন্য আপীল এন্ড আরবিট্রেশন বোর্ডে আবেদন করা হয়।

প্রভাষক অমেলেন্দুর বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে ১০ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বাড়িতে প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে ওই ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক, প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের অহেতুক মারপিট ও এইচএসসি পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত, গভার্নিং বডিকে অসন্মান, শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং তৈরী, শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা তথ্য সরবরাহের অভিযোগ উঠে। এসব অভিযোগ আসে গভানিং বডির কমিটির কাছে। তার জেরে গত ৩১ আগস্ট ও ১৩ সেপ্টেম্বর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন গভার্নিং বডি। কিন্তু তার জবাব দেন না অমলেন্দু। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। একই সাথে হাসান জাকীকে আহবায়ক, ইকবল হোসেন ও জসিম উদ্দিনকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি তদন্ত শেষে গত ১৫ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর ২৭ অক্টোবর প্রভাষক অমলেন্দু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি। এবার তাকে স্থায়ী বরখাস্তের অনুমতির জন্য আপীল এ্যান্ড আরবিট্রেশন বোর্ডে আবেদন করা হয়েছে।

এরআগে উল্লেখ্য, কলেজে নানা রকম দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান জামাতকে প্রথমে শোকজ করেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিলাল হোসেন। অভিযোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বিভিন্ন খাতওয়ারী অনিয়ম, দূর্নীতি, গভর্নিং বডির অবমাননা, শিক্ষক শিক্ষার্থী মধ্যকার বিশৃংখলা সৃষ্টি, সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে নিজের ইচ্ছে মত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধন, জাল জালিয়াতি, সরকারী প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, প্রতিষ্ঠান থেকে বই চুরি সহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয় অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান জামাতের বিরুদ্ধে। এরআগে কলেজে নানা রকম দুর্র্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান জামাত কে সাময়িক বরখাস্ত করা আছে। কামরুজ্জামান জামাতকে প্রথমে শোকজ করেন পরিচালনা কমিটির সভাপতি বিলাল হোসেন।

অভিযোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বিভিন্ন খাতওয়ারী অনিয়ম, দূর্নীতি, গভর্নিং বডির অবমাননা, শিক্ষক শিক্ষার্থী মধ্যকার বিশৃংখলা সৃষ্টি, সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে নিজের ইচ্ছে মত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা, প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধন, জাল জালিয়াতি, সরকারী প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, প্রতিষ্ঠান থেকে বই চুরি সহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয় অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান জামাতের বিরুদ্ধে। যা তদন্ত কমিটি প্রমান পায়।