দেড় যুগ পর এত বাজে অবস্থায় বার্সেলোনা

ভিয়ারিয়ালকে ৪-০ এবং সেল্টা ভিগোকে ৩-০ গোলে হারিয়ে নতুন মৌসুমের শুরুটা করেছিল স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। লা লিগায় নিজেদের হারানো শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনে এমন শুরু আশাবাদী করে তুলেছিল ভক্ত-সমর্থকদের। কিন্তু এরপরই যেনো জিততে ভুলে গেলো রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যরা।

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের দুই ম্যাচে দারুণ জয় পেলেও, লা লিগায় বিতিকিচ্ছিরি অবস্থায় পড়ে গেছে বার্সেলোনা। গত ২ অক্টোবর সেল্টার মাঠ থেকে ৩-০ গোলে জিতে আসার পর খেলা চার ম্যাচে আর জয়ের দেখা পাননি লিওনেল মেসি, অ্যান্তনিও গ্রিজম্যান, ফিলিপ কৌতিনহোরা।

বার্সেলোনার পড়তি পারফরম্যান্সের শুরুটা গত ৫ অক্টোবর সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ থেকে। সেদিন ১-১ গোলে ড্র করেছিল তারা। এরপর হেরে যায় গেটাফে (০-১) ও রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে মর্যাদার এল ক্ল্যাসিকো (১-৩) ম্যাচে। সবশেষ শনিবার রাতে আলাভেসের বিপক্ষেও জিততে পারেনি তারা, ম্যাচ শেষ হয়েছে ১-১ ব্যবধানে।

অর্থাৎ মৌসুমের প্রথম ছয় ম্যাচে দুই জয়, দুই পরাজয় ও দুই ড্র দেখল বার্সেলোনা। সবমিলিয়ে মাত্র ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১২ নম্বরে অবস্থান করছে তারা। স্প্যানিশ লা লিগায় ১৮ বছর পর এত বাজে অবস্থায় পড়ল তারা। সবশেষে ২০০২-০৩ মৌসুমে প্রথম ছয় ম্যাচে মাত্র ২টি জিততে পেরেছিল বার্সেলোনা।

সেবার ড্র দিয়েই মৌসুম শুরু করেছিল কাতালান ক্লাবটি। এরপর টানা দুই ম্যাচ জিততে দিয়েছিল ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত। কিন্তু পরের তিন ম্যাচে এক ড্র ও দুই হারের কারণে ছয় ম্যাচ শেষে মাত্র ৮ পয়েন্ট জমা পড়ে ঝুলিতে। তখন পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান ছিল ১১তম। শেষপর্যন্ত ষষ্ঠ অবস্থানে থেকে ২০০২-০৩ মৌসুমের লিগ শেষ করেছিল তারা।

দেড় যুগ পর আবার ছয় ম্যাচে মাত্র ২টি জিতল বার্সেলোনা। তাদের এমন অবস্থার অন্যতম বড় কারণ দলের সবচেয়ে বড় তারকা ও অধিনায়ক লিওনেল মেসির গোলখরা। এখনও পর্যন্ত মাত্র ২টি গোল করতে পেরেছেন তিনি, দুইটিই আবার পেনাল্টি থেকে। আলাভেসের বিপক্ষে ম্যাচে ১০টি শট করেও গোলের দেখা পাননি তিনি।