যশোরে বস্তাবন্দী অবস্থায় ইজিবাইক চালকের মরদহ উদ্ধার

যশোরে নিখোঁজ ইজিবাইক চালক ইমনের(১৮) মরদেহ পাওয়া গেল যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া ইউনিয়নের সদুল্লাপুর ভৈরবের শাখা নদী (কাটা খাল) এলাকায়। আজ বেলা ১১ টার দিকে পুলিশ তার বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করে যশোর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়েছে ময়না তদন্তের জন্য। প্রথমে মরদেহটি অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার হওয়ার পর পিবিআই নিহতের পরিচয় শনাক্ত করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ইমনকে হত্যা করে তার ইজিবাইক ছিনতাই করে দুর্বৃত্তদল। পরবর্তিতে ইমনের মরদেহ নদীতে ফেলে চলে যায় তারা। দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত ইমন যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

নিহতর পিতা আবুল কালাম সাংবাদিকদের বলেন, গত ২৮ এপ্রিল ভোর ৬টায় ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় ইমন। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার সহকর্মী ইজিবাইক চালকরা দেখেছে ভাড়া নিয়ে বসুন্দিয়ার দিকে যেতে। তারপরে আর কেউ দেখিনি ইমনকে। এঘটনায় তারা অভয়নগর থানায় সাধারন ডায়েরি করেন।

স্থানীয় গ্রামবাসীরা বলেন, আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টায় নদীর পাড় থেকে প্রচন্ড একটা দূর্গন্ধ পান অনেকেই। পরে খোঁজখবর নিয়ে গ্রামবাসীরা দেখেন একটি বস্তায় ভরা এক যুবকের মরদেহ ভাসতে এবং তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে বেরোচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে পুলিশের সহযোগিতায়, পিবিআই,ডিবিসহ একাধিক টিম ঘটনাস্থলে আসেন। পরবর্তিতে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ইমনের কাছে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত ২৮ এপ্রিল নিখোঁজ হয় ইমন। এঘটনায় অভয়নগর থানায় জিডি করা হয়। পরবর্তীতে আজ সকালে লাশ উদ্ধার হয়। ইমনের পরিবারের সদস্যরা এসে পরিচয় শনাক্ত হয়। লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ইজিবাইক ছিনতাই করতে হত্যা করা হয়েছে ইমনকে।