ঝিনাইদহে সরকারী বিদ্যালয় বন্ধ তবু চলছে টিফিনের টাকা আদায়

দীর্ঘ সময় ধরে করোনা মহামরীর কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও ঝিনাইদহ সরকারী উচ্চ বালক এবং বালিকা বিদ্যালয়ে আদায় করা হচ্ছে টিফিন ফি, বেতন, ল্যাব ফিসহ সকল আনুসাঙ্গিক খাতের টাকা। ঝিনাইদহ সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৬০০ ছাত্র এবং বালিকা বিদ্যালয়ে ১ হাজর ৬৬০ ছাত্রী অধ্যায়ন করে।

তাদের কাছ থেকে প্রতি মাসে সরকারী বেতন ছাড়াও টিফিন ফি ৭৫ টাকা, কম্পিউটার ফি ২০, অত্যাবশ্যকীয় ব্যয় খাতে ২০ টাকা আদায় করা হয়। তাছাড়া বছরের শুরুতে সরকারী ফি বাদে একজন শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ভর্তির সময় স্কুল কর্তৃপক্ষ বেসরকারী খাতে ১২১৫ টাকা নিয়ে থাকে। সবমিলে একজন শিক্ষার্থীর নিকট থেকে বছরে বেসরকারী খাতে ২৫৯৫ টাকা নেওয়া হয়।যার একটি টাকাও সরকারী কোষাগারে জমা হয়না। এছাড়াও বার্ষিক ডিনার বা শিক্ষা সফর তো আলাদাই রয়েছে।
ঝিনাইদহ সরকারী বালক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী অনুযায়ী এবছর বার্ষিক আয় হবে ৪১ লাখ ৫২ হাজার টাকা এবং বালিকা বিদ্যালয়ে আয় হবে ৪৩ লাখ ৭ হাজারের কিছু বেশী। এবছর করোনা মহামারীর কারণে মার্চের ১৭ তারিখ থেকে স্কুলের সকল কার্যক্রম বন্ধ একটানা ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত। তাছাড়া ফেব্রুয়ারীর ১ তারিখ থেকে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে প্রায় ১ মাস ১০ দিন বন্ধ ছিল স্কুল দুটি। শুধু মাত্র জানুয়ারী মাসে স্কুল চালু থাকলেও ১২ মাসের টিফিনসহ অন্যান্যসব ফিস আদায় করা হচ্ছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেন।

এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে টিফিন ফিসহ ও অন্যান্য আনুসাঙ্গীক ফি আদায় করায় ক্ষোভে ফুসে উঠছে অভিভাবকরা। তারা জানান টিফিন খরচ ফেরতসহ অন্যান্য আনুসাঙ্গীক ফিস কমানোর ব্যাপারে যদি দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহন করা না তাহলে তারা আন্দোলনের ডাক দেবেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সরকারী উচ্চ বালক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেখ সফিয়ার রহমান বলেন অন্যান্য বারের ন্যায় এবারও আমরা টিফিন ফিসসহ অন্যান্য ফি নিচ্ছি তবে এটা বেসরকারী ফিস হলেও আমরা শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অনুমতি স্বাপেক্ষে নিয়ে থাকি, না নেওয়ার ব্যাপারে এখনো কোন নির্দেশনা পাইনি। সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লক্ষী রানী পোদ্দার বলেন পূর্বের নিয়মানুসারে আমরা এসব ফিস নিচ্ছি যদি এর পরিবর্তণ হয় তাহলে আমরা সেটা অভিভাবকদের জানিয়ে দেব।