ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক হাসপাতালে কাটা হচ্ছে বেতন : প্রতিবাদে মানববন্ধন

করোনার শুরুর আগেও যে পরিমান রোগি আসত, এখনও সেই একই সংখ্যক রোগি চিকিৎসা নিতে আসছে ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক হাসপাতালে। করোনার শুরুর দিকে হাসপাতালের আয় কমলেও এখন আগের মতই আয় হচ্ছে। কিন্তু এই করোনাকে পুঁজি করে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটি কর্মরত কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতনের ২৫ ভাগ কেটে নিচ্ছে। এমন অভিযোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরতরা।

বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতাল চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে থেকে এ অভিযোগ করা হয়।

এসময় বন্ধ থাকে চিকিৎসা সেবা। বৃহস্পতিবার সকালে শহরের বাইপাস এলাকায় হাসপাতালের সামনে তারা এ কর্মসূচী পালন করে। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে হাসপাতালের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও চিকিৎসকরা অংশ নেয়।

বক্তারা অভিযোগ করেন, করোনা শুরুর দিকে আমাদের বেতন ৫০ ভাগ কেটে নেওয়া হয়েছিল। আমাদের সাথে কোন প্রকার আলাপ বা আলোচনা না করেই এ সিন্ধান্ত দেওয়া হয়। রোগি কম আসার কারণে আমরা সেই সময় কোন প্রতিবাদ করিনি। কিন্তু বর্তমানে রোগি সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেড়েছে হাসপাতালের আয়। তারপরও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটি আমাদের বেতনের ২৫ ভাগ কেটে নিচ্ছে। দিনের পর দিন তাদের কাছে বলা হলেও তারা কোন কর্ণপাত করছেন না। এতে চরম মানবেতর জীবন-যাপন করতে হচ্ছে। বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটি অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়ে আমাদের বেতন কেটে নিচ্ছে। দ্রুত আমরা পুর্নাঙ্গ বেতন ভাতা দেওয়ার দাবী জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মীর নাসির উদ্দিন বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ২৫ ভাগ না ১০ ভাগ কম দেওয়া হচ্ছে। করোনার কারণে আয় কমে যাওয়ায় এ সমস্যা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বেতন পুর্নাঙ্গ দেওয়া হবে।