যবিপ্রবির জিনোম সেন্টার পরিদর্শনে ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) করোনা টেস্টিং ল্যাব জিনোম সেন্টার পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার নেতৃত্বাধীন একটি দল।

বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের নিচতলায় অবস্থিত জিনোম সেন্টার পরিদর্শন করেন তারা।

ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জিনোম সেন্টারের করোনা পরীক্ষা দলের সদস্যদের জানান, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাব হলে পরীক্ষা করার জন্য দেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তারা যোগাযোগ করেন। কিন্তু সবাইকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে করোনা টেস্ট শুরু করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। জিনোম সেন্টারের উন্নতমানের ল্যাব সেটআপ দেখেও সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, করোনাকালে আপনারা যে অবদান রেখে চলেছেন, সময় স্বল্পতা থাকা সত্ত্বেও কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আপনাদের ল্যাব পরিদর্শন করতে এসেছি।

জিনোম সেন্টার পরিদর্শনে আসায় অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ল্যাবটির সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদ। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য অধিপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক স্বচক্ষে জিনোম সেন্টারের কার্যক্রম পরিদর্শন করতে এসেছেন, এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তিনি করোনা পরীক্ষায় জিনোম সেন্টারের সক্ষমতা দেখে গেলেন। একইসঙ্গে ল্যাবটির জেনোমিক্সের কার্যক্রম ও ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কপের বিষয়ে জেনে গেলেন। আমরা তাকে অবহিত করেছি, জিনোম সেন্টারের এখন প্রতিদিন ৪০০ নমুনা পরীক্ষা করার সক্ষমতা তৈরি হয়েছে।

অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান, প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আব্দুল আলিম, ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. পারভেজ প্রমুখ। জিনোম সেন্টারের সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদ ছাড়াও এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জিনোম সেন্টারের করোনা পরীক্ষা দলের সদস্য ড. তানভীর ইসলাম, ড. সেলিনা আক্তার, ড. শিরিন নিগার, ড. হাসান মো. আল-ইমরান প্রমুখ।

অপরদিকে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ‘জি-সুইট’ ইমেইল অ্যাড্রেস শিক্ষার্থীদের দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শ্রেণি প্রতিনিধিদের কাছে ইমেইল অ্যাড্রেস দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব শ্রেণি প্রতিনিধিদের কাছ থেকে সেটা সংগ্রহ করে নিতে হবে।

যবিপ্রবির আইসিটি সেল ও অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত কমিটির সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের এই ইমেইল অ্যাড্রেস দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে এই ‘জি-সুইট’ ইমেইল অ্যাড্রেস দেওয়া হয়েছে। আর যে সকল শিক্ষার্থী এখনো ইমেইল অ্যাড্রেস পায়নি, তাঁদের যবিপ্রবির ওয়েবসাইটের লগইন ট্যাবে গিয়ে ‘স্টুডেন্ট ইমেইল আইডি রিকোয়েস্ট’ অপশনে গিয়ে গুগলফর্ম পূরণ করলে, তাঁদেরও অতিদ্রুত ইমেইল অ্যাড্রেস প্রদান করা হবে। এর আগে যবিপ্রবির ৬২তম রিজেন্ট বোর্ডের বিশেষ সভায় শিক্ষার্থীদের ‘জি-সুইট’ অ্যাড্রেস প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেল থেকে জানানো হয়েছে, শিক্ষার্থীরা এ ইমেইল অ্যাড্রেসের মাধ্যমে ই-মেইল ছাড়াও গুগল ড্রাইভ (আনলিমিটেড স্টোরেজ সুবিধা), গুগল ক্লাসরুম, গুগল মিটসহ অন্যান্য ২৮টি সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবেন। এ ‘জি-সুইট’ ইমেইল অ্যাড্রেসের মেয়াদ হবে কোনো শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর পরবর্তী এক বছর পর্যন্ত।