যশোরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে মারপিট ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় মামলা

Jessore map

যশোর সদর উপজেলার ছোট গোপালপুর গ্রামে পূর্বশত্রুতা ও তাৎক্ষনিক শিশুদের গোলযোগকে কেন্দ্র করে মারপিট, শ্লীলতাহানি ও চেইন ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় ৭ দিন পর কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। ওই গ্রামের মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে আব্দুল হাকিম (৪৫) বাদি হয়ে শুক্রবার ২০ নভেম্বর মামলা করেন।

মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়।

আসামিরা হচ্ছে সদর উপজেলার শেখহাটির (বড় প্রাচীরের পাশে) মৃত গফুর বিশ্বাসের ছেলে হারুন (৫৫), একই গ্রামের মৃত রহিম বিশ্বাসের ছেলে আনিছুর রহমান (৩৫) মৃত গফুর বিশ্বাসের ছেলে মাহাবুর (৩৫) মহিদুল ইসলামের ছেলে জাহিদ (২৬) ছোট গোপালপুরের মৃত গফুর বিশ্বাসের ছেলে মিলন (৫০) উপশহর নিউটাউন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশে শহীদুলের ছেলে জিসান (২২)সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেছেন, বাদি ও আসামিদের বাড়ি একই গ্রামে রাস্তার এপাশ-ওপাশ। বাদি ও আসামিদের মধ্যে পূর্বশত্রুতা চলে আসছিলো। এ কারণে বিভিন্ন অজুহাতে বাদি পক্ষকে ক্ষয় ক্ষতি করার ষড়যন্ত্র করে আসছিলো। ১৩ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৫ টায় বাদি আব্দুল হাকিমের নাতনী কুলসুমকে (৭) ইট মেরে ২নং আসামি আনিছুরের ছেলে স্বপ্নীল (৮) মাথা ফাঁটিয়ে দেয়। এ বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করায় আসামিরা দলবদ্ধ হয়ে গাছি দা, লোহার রড, বাশের লাঠিসহ মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জন সন্ত্রাসীর সহযোগিতায় বাদির বাড়ির সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাচ কর মাহাবুরতে থাকে। বাদি গালিগালাচ করতে নিষেধ করায় এক নং আসামি হারুনের নির্দেশে দুই নং আসামি আনিছুর ও তিন নং আসামি মাহাবুর বাদি হাকমকে পাজা করে ধরে রাখে। আসামি হারুন ধারালো দা দিয়ে বাদির ভাই আলমগীরকে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথার ডান পাশে কোপ মেরে রক্তাত্ত জখম করে। অন্যান্য আসামিরা লোহার রড, বাশের লাঠি দিয়ে আলমগীরকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুত্বর জখম করে। বাদির বোন সেলিনা ও স্ত্রী জানু বেগম ঠেকাতে গেলে আসামিরা তাদেরকেও মারপিট করে জখম করে। ৩ নং আসামি মাহাবুর জানু বেগম ও ৪ নং আসামি জাহিদ সেলিনা খাতুনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে পরনের কাপড় টেনে হেচড়ে খুলে বেআব্রু করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। ৬ নং আসামি জিসান বাদির বোন সেলিনার গলায় থাকা ৭ আনা ওজনের একটি সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয়। আহতদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে আসামিরা হুমকি দিয়ে চলে যায়। আহত আলমগীরের শারীরিক অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাকায় স্থানান্তর করা হয়। বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা করতে গেলে আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহন না করায় ১৭ নভেম্বর আদালতে মামলা করা হয়। পরে আদালতের নিদের্শে ২০ নভেম্বর মামলাটি থানায় নথিভুক্ত করা হয়।