মাদক-অস্ত্রসহ গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে র‌্যাবের তিন মামলা

 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে গাড়ি ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী মো. মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রোববার (২২ নভেম্বর) সকালে র‌্যাব বাদী হয়ে এই তিনটি মামলা দায়ের করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) বিনা রাণী দাশ জাগো নিউজকে বলেন, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় গ্রেফতার গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা হয়েছে।

 

বিদেশি বিভিন্ন দেশের মুদ্রা রাখায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। মোট তিন মামলায় গ্রেফতার গোল্ডেন মনিরকে বাড্ডা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

 

এর আগে শনিবার (২১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ অবৈধপথে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছেন গোল্ডেন মনির। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে তার স্বর্ণ চোরাকারবারের রুট ছিল ঢাকা-সিঙ্গাপুর-ভারত। এসবই তিনি করেছেন ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে। যেখানে তার নাম হয়ে যায় গোল্ডেন মনির।

মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেফতারের পর তার হেফাজত থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি, বিদেশি মদ এবং প্রায় দশটি দেশের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা যা প্রায় বাংলাদেশি টাকায় ৯ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। তার বাসা থেকে আট কেজি স্বর্ণ ও নগদ এক কোটি নয় লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

তিনি মূলত একজন হুন্ডি ব্যবসায়ী, স্বর্ণ চোরাকারবারি ও ভূমির দালাল। তার একটি অটোকার সিলেকশন শোরুম আছে। পাশাপাশি রাজধানীর গাউছিয়ায় তার একটি স্বর্ণের দোকানের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে।

আমরা তার বাসা থেকে দুটি বিলাসবহুল অনুমোদনবিহীন বিদেশি গাড়ি জব্দ করেছি, যার প্রত্যেকটি দাম প্রায় তিন কোটি টাকা। এর পাশাপাশি তার শোরুম থেকেও তিনটি বিলাসবহুল অনুমোদনবিহীন গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে আশিক বিল্লাহ বলেন, মূলত ফৌজদারি অপরাধের কারণে অর্থাৎ অনুমোদনবিহীন বিদেশি অস্ত্র ও মাদক রাখার অপরাধে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তার এই আইনবহির্ভূত আয়-উপার্জন অর্থসম্পদ গড়াসহ কারা জড়িত, সেটি তদন্ত করতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানাবে র‌্যাব।