‘ভারতে বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেস অকেজো’

ভারতের ঐতিহ্যবাহী দল কংগ্রেসের বর্তমান অবস্থান নিয়ে তুমুল সমালোচনা করেছেন দলের প্রবীণ নেতা কপিল সিব্বল। তিনি বলেছেন, বিরোধী দল হিসেবে অকেজো এক বছরেরও বেশি সময় ধরে নেতাহীন দল হচ্ছে কংগ্রেস। তাই বিজেপির প্রতিপক্ষ হিসেবে মাথা তোলার মতো অবস্থা নেই তারা। খবর আনন্দবাজারের।

সদ্যসমাপ্ত বিহার বিধানসভা এবং একাধিক রাজ্যের উপনির্বাচনে শোচনীয়ভাবে হেরেছে কংগ্রেস। আর চমক দেখিয়েছে দেশটির আলোচিত মুসলিম নেতা ওয়াইসির দল।

ভারতের একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা কপিল সিব্বল বলেন, ‘১৮ মাস হয়ে গেল পূর্ণসময়ের সভাপতি নেই দলে। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে কার্যকরী প্রতিপক্ষ হয়ে উঠবে দল। একের পর এক জায়গায় হার হচ্ছে। অথচ তা নিয়ে দলে আলোচনার সুযোগ নেই।’

একাধিক রাজ্যে দলের শোচনীয় হার প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা সিব্বল বলেন, ‘গুজরাটে ৮টি আসনেই হেরেছি আমরা। অথচ ওই সবক’টি আসনই কংগ্রেসের বিদ্রোহী নেতাদের দখলে ছিল। সেখানে ৬৫ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে বিদ্রোহীদের ছেড়ে যাওয়া ২৮টি আসনের মধ্যে মাত্র ৮টি ধরে রাখতে পেরেছি আমরা। বিজেপির সঙ্গে সামনাসামনি লড়াইয়ের ক্ষেত্রে বিরোধী দল হিসেবে কার্যকরীই নয় কংগ্রেস। কোথাও না কোথাও গলদ তো রয়েইছে। কিছু একটা তো করতেই হবে।’

দলের নেতৃত্ব এবং পরিচালন পদ্ধতি নিয়ে এর আগে অগস্ট মাসে দলের অন্তর্বর্তিকালীন সভাপতি সোনীয় গান্ধীকে চিঠি দেন সিব্বল, গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, শশী তারুরের মতো ২৩ জন নেতা। সেই সময় রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বিরোধ চরমে উঠে। গুঞ্জন রয়েছে, দলের কিছু নেতার সঙ্গে গোপনে বিজেপির আঁতাত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন রাহুল গান্ধী। পরে ওই বছরের ১০ আগস্ট দলের অন্তর্বর্তী সভাপতি নিযুক্ত হন সোনিয়া গান্ধী। এরপর থেকে বারবার নির্বাচনের কথা উঠলেও, এখনও পর্যন্ত পূর্ণ সময়ের সভাপতি নির্বাচন করে উঠতে পারেনি কংগ্রেস।