কেশবপুরে বোরো আবাদের লক্ষ্যে স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন

যশোরের কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে কেশবপুর উপজেলার গৌরিঘোনা ইউনিয়নের আগরহাটি খালটি পুনর্খনন করার ৬ মাস যেতে না যেতেই খালটি আবারও পলিতে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ হয়ে ভরতভায়না বিল সংলগ্ন ১২টি বিলে জলাবদ্ধতা বিরাজ করায় চলতি মৌসুমে বোরোধান আবাদে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। ফলে বোরো আবাদের লক্ষ্যে বিল সংলগ্ন গ্রামের কয়েক শত কৃষক গত ৩দিন ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে ওই খালের পলি অপসারণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এলাকাবাসির অভিযোগ খালটি যেনতেন ভাবে খনন করায় পলিতে ভরাট হয়ে গেছে।

উপজেলার গৌরিঘোনা ইউনিয়নের আগরহাটি খালের ৪ ভেন্ট স্লুইচ গেট দিয়ে ভরতভায়না বিল সংলগ্ন সারুটিয়া, ভেরচি, ডহুরী, কাকবাধাল, ভরতভায়না, সন্ন্যাসগাছাসহ ১০-১২টি বিলের পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে। ওই খাল পলিতে ভরাট হওয়ার কারণে গত বছর অধিকাংশ বিলে বোরো আবাদ হয়নি। যে কারণে মানুষকে দুর্বিসহ জীবনযাপন করতে হয়েছে। চলতি বছর বিলে ধান না হলে মানুষকে না খেয়ে দিন কাটাতে হবে। একথা বিবেচনা করে এলাকার কৃষকরা স্বেচ্ছাশ্রমে ওই খালের পলি অপসারণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ কাজের নের্তৃত্বে থাকা প্রদত্ত বিশ্বাস জানান, গত জুলাই মাসে পানি উন্নয়ন বোর্ড ওই খাল খননে ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে করে। কিন্তু ৬ মাস যেতে না যেতেই খালটি পুনরায় পলিতে ভরাট হয়ে যায়। ওই খালের স্লুইচ গেটের দুপাশ পলিতে ভরাট হওয়য় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। এ কারণে ভেরচি, সারুটিয়া, কাকবাধাল, ডহুরী এলাকার প্রায় ২শ কৃষক স্বেচ্ছাশ্রমে পলি অপসারণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কৃষকদের অভিযোগ, গত দুই দিন ধরে সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ কাজ চললেও এখনও কারও সহযোগিতা পাইনি। এমনকি তাদের খবরও কেউ নেয়নি। এবার বিলে ধান না হলে ১০-১২ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে খাদ্য সংকটে ভুগতে হবে।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড কেশবপুরের এসও ফিরোজ হোসেন বলেন, আগরহাটি খালটি শ্রী নদীর শাখা খাল। এই খাল দিয়ে ভরতভায়না বিল এলাকার পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে। পলির হাত থেকে ভরতভায়না বিল সংলগ্ন বিলগুলো রক্ষায় অতীতে আগরহাটি খালের মুখে ৪ ভেন্ট স্লুইচ গেটটি নির্মাণ করা হয়। ৬ মাস আগে খালটি খনন করা হলেও নদীতে ব্যাপকভাবে পলি জমছে। যে কারণে কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার পলিতে ভরাট হয়ে যাচ্ছে।